তাড়াতাড়ি গিয়ে খাটিয়াতে বসলেন, দেখাদেখি জয়মলও উচুতে খাটিয়ায় বসল। বঁাশের খাটিয়া একবার মচাৎ করে শব্দ করেই চুপ করল। সঙ্গ গিয়ে বসলেন বাঘছালের উপর মাটিতে, আর সুরজমল বসলেন একটা হাটু বাঘছালে রেখে একেবারে আগুনের মতো তপ্ত পাথরের মেঝেয় । ভর সন্ধ্যায় গুহার মধ্যে অন্ধকার বেশ একটু ঘনিয়ে এসেছে, সেই সময় প্রদীপ-হাতে সিদ্ধিকর গুহাতে ঢুকেই দেখেন চার মূর্তি। সঙ্গ উঠে, সিদ্ধিকরীকে নমস্কার করে বসলেন । সুরজমলকে আর উঠতে হল না –তিনি যে মাটিতে বসেছিলেন সেই মাটিতেই সাষ্টাঙ্গ হয়ে প্রণাম করলেন। পৃথ্বীরাজ খাটিয়া ছেড়ে দাড়িয়ে-দাড়িয়ে ঘাড়টা নোয়ালেন, হাতদুটো কপালের দিকে উঠেই আবার নেমে গেল ; আর জয়মলটা উঠলও না, নমস্কারও দিলে না, বসে-বসেই বললে, ‘মাতাজী গণনা করে বলুন তো আমাদের মধ্যে কার কপালে চিতোরের সিংহাসনটা রয়েছে ? সিদ্ধিকরী কোনো উত্তর না দিয়ে কেবল নিজের কপালে হাত বোলাতে লাগলেন আর গেরুয়াকাপড়ের খুঁটে মুখ মুছতে থাকলেন দেখে পুখীরাজ বলে উঠলেন –‘ভাবেন কী ? বড়ো জরুরি কথা । বেশ করে ভেবে চিন্তে গণনা করে উত্তর দেবেন। সঙ্গ বললেন, ‘আগে চারণীর পুজোট ওঁকে সেরে নিতে দাও, পরে ওসব কয়ো? ‘সেই ভালো ’ বলে সিদ্ধিকরী পুজোয় বসলেন। তারপর চারণীর সামনে একবার পিদিম নেড়ে ঘণ্টাটা বাজিয়ে গোটাকতক প্রসাদী গাদাফুল চারপুত্রের মাথার পাগড়িতে গুজে দিয়ে বললেন, ‘রাজকুমারের, একটা ইতিহাস বলি শোনো –পূর্বকালে উজ্জয়িনীনগরে একদিন মহারাজা বিক্রমাদিত্য রাজসভা ছেড়ে অন্দরে গিয়ে জলযোগ করতে বসবেন এমন সময় লক্ষ্মী সরস্বতী বিবাদ করতে করতে সেখানে উপস্থিত। মহারাজা তাড়াতাড়ি আসন ছেড়ে উঠে বললেন, ‘দেবী আপনাদের কী প্রয়োজনে আগমন, দাসকে বলুন ! ছুইজনেই রাজাকে আশীৰ্বাদ করে বললেন, বৎস বিক্রমাদিত্য, তুমি ఫిbr
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।