এখানে এক সময় নরবলি হত ! বহুদিন হল বন্ধ হয়ে গেছে ; দেবীও মানুষের র্কাচা মাথা অনেককাল পুজো পাননি, ওইখানে সারংদেব আমাকে পূজো করতে যেতে আজ ডেকে গেছে, কিন্তু আমার হয়ে ওখানে যেতে তোমার সাহস হবে কি ? ‘খুব হবে ? —বলেই পৃথ্বীরাজ সুরজমলকে নিজের পাগড়ি দিয়ে কষে একটা গাছের সঙ্গে বেঁধে মন্দিরে ঢুকলেন। বেশি দেরি হল না, সারংদেবের র্কাচা মাথাটা কেটে নিয়ে খুড়োর বঁাধন খুলে দিয়ে পৃথ্বীরাজ যুদ্ধ বন্ধ করে চিতোরে চলে গেলেন । যে-সব পরগণা জয় করতে-করতে সুরজমল ফৌজের পায়ের তলায় প্রজার সুখ-শান্তি চূর্ণ করে ধুলোর মতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন সেদিন সেই নায়ি, বাটেরা, নিমচের রাস্তা ধরেই হেরে ফিরতে হল —তাকে ঘাড় হেঁট করে । তিনটে বড়ো-বড়ে রাজত্ব র্তার হাতছাড়া হয়ে গেল, রইল কেবল একটুখানি সত্রিপরগণা ! কিন্তু সেটুকুও বেশিদিন থাকবে কি না স্থরজমল ভাবছেন —এমন সময়ে একদিন দেখলেন গায়ের ধারে মন্দিরের সামনে একটি ডালকুত্তো ছোটো একটি ছাগলছানা শিকার করবার চেষ্টা করতেই একটা রামছাগল তাকে ঢু মেরে তাড়িয়ে ছানাটামৃদ্ধ মন্দিরে গিয়ে সেঁধাল। কুকুরটা মন্দিরের সামনে ঘেউ-ঘেউ করে চেঁচাতে লাগল –কিন্তু ভিতরে ঢোকবার সাহস করলে না । সুরজমল ঠিক করলেন এইখানেই নিরাপদে থাকা , বে—এই মন্দির হবে আমার ঘর, কেল্লা, সমস্তই। সেইদিন সুরজমল সঞ্জি থেকে কারিগর ডাকিয়ে সেই মন্দির ঘিরে ছোটো এক কেল্লা তুললেন, তার চারিদিকে বাজার হাট বসালেন ; সব শেষ ‘দেওলা’ গ্রাম মায় সমস্ত সন্দ্রিপরগণা আর কন্থল পাহাড়ের উপর তার কেল্লাটি পর্যন্ত দেবতার নামে উৎসর্গ করে সমস্তটার নাম রাখলেন দেউলগড় । দেবতার কেল্লা তার উপর চড়াও হতে রানারও সাধ্য নেই, ষাট হাজার বছর নরকের ভয় আছে ! সব রাজার রাজ্যের সীমানার বাইরে , এই দেউলগড়ে, সুরজমল নির্ভয়ে রইলেন, নিশ্চিস্ত ミ》や
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।