তপোবনের শেষে বটগাছ, সেইখান থেকে তাত কশ্ব ফিরলেন ! দুই সখী কেঁদে ফিরে এল। আসবার সময় শকুন্তলার আঁচলে রাজার সেই আংটি বেঁধে দিলে, বলে দিলে— ‘দেখিস, ভাই, যত্ন করে রাখিস ।” তারপর বনের দেবতাদের প্রণাম করে, তাত কশ্বকে প্রণাম করে শকুন্তলা রাজপুরীর দিকে চলে গেল। পরের মেয়ে পর হয়ে পরের দেশে চলে গেল-- বনখানা আঁধার করে গেল ! ঋষির অভিশাপ কখনো মিথ্যে হয় না। রাজপুরে যাবার পথে শকুন্তলা একদিন শচীতীর্থের জলে গা ধুতে গেল। সাতার-জলে গা ভাসিয়ে, নদীর জলে ঢেউ নাচিয়ে শকুন্তলা গা ধুলে। রঙ্গভরে অঙ্গের শাড়ি জলের উপর বিছিয়ে দিলে ; জলের মতো চিকণ অঁাচল জলের সঙ্গে মিশে গেল, ঢেউয়ের সঙ্গে গড়িয়ে গেল । সেই সময়ে দুর্বাসার শাপে রাজার সেই আংটি শকুন্তলার চিকণ র্তাচলের এক কোণ থেকে অগাধ জলে পড়ে গেল, শকুন্তল। জানতেও পারলে না । তারপর ভিজে কাপড়ে তীবে উঠে, কালো চুল এলো করে, হাসিমুখে শকুন্তলা, বনের ভিতর দিয়ে রাজার কথা ভাবতে ভাবতে শূন্ত আঁচল নিয়ে রাজপুরে চলে গেল, আংটির কথা মনেই পড়ল না । రి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।