‘মাসি পিসি বনগাঁ-বাসী বনের ধারে ঘর কখনো মাসি বলেন না যে খইমোয়াটা ধর । কিন্তু এবারে মাসি পিসি দুজনেই ডেকেছেন। আগে মাসির বাড়ি এসেছি পালকি চড়ে। সেখানে মোয়া খেয়ে পেট ধাম করেছি। এখন পালকিতে শুয়ে পিসির বাড়ি চলেছি। মাসি চাদরের খুটে খই বেঁধে দিয়েছেন—পথে জল খেতে ; হাতে একগাছা ভূতপত রী লাঠি দিয়েছেন – ভূত তাড়াতে ; এক লণ্ঠন দিয়েছেন – আলোয়-আলোয় যেতে । হুম্পান্থমা পালকি চলেছে বনগী পেরিয়ে ; ধপড়ধাই পালকি চলেছে বনের ধার দিয়ে, মাসির ঘর ছাড়িয়ে, ভূতপতরীর মাঠ ভেঙে, পিসির বাড়িতে। পিসি দেশে কখনো যাইনি । শুনেছি পিসি থাকেন তেপান্তর মাঠের ওপারে সমুদ্র বের ধারে, বালির ঘরে । শুনেছি পিসি কাকড় খেতে ভালোবাসেন । কিন্তু লোক তো পিসির বাড়ি যায় কত ! যে ভূতপত্রীর মাঠ ! দেখেই ভয় হয়! এই মাঠ ভেঙে দুপুর রাতে পিসির বাড়ি চলেছি। চলেছি তো চলেইছি ; 'হুইয়। মারি খপরদারি ' 'বড়া ভারি খপরদারি ? মাঠের মাঝে একটা শেওড়াগাছের ঝোপ, অন্ধকারে কালো বেরালের মতো গুড়ি মেরে বসে আছে। তারই কাছে ঘোড়ার গোর, তার পরেই তেপান্তর মাঠ ! হাটের বাট ওই শেওড়া-তলা পর্যন্ত ; তার পরে আর হাটও নেই, বাটও নেই ; কেবল মাঠ ধূ-ধূ করছে । এই শেওড়-তলায় পালকি এসেছে কি আর যত ঝিঝিপোকা তারা বলে উঠেছে —‘চললে বাচি ! চললে বাচি! কেন রে বাপু, একটু না হয় বসেছি, তাতে তোমাদের এত গায়ের জ্বালা কেন ? চললে বাচি ? চলতে কি আর পার রে বাপু ? অমনি ঝিঝি ఫిసె
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।