আমি বললেম, “দেখ জাহাঙ্গির যতই মাতাল হোক, ও তোমার রাজ্য একরকম চালিয়ে নেবে ; শাজাহানও যতই পাগলামি করুক কিন্তু দেখো একদিন তোমার নাম রাখবে ; ছেলেটি বেশ ধীর, শান্ত, বুদ্ধিমান। কিন্তু ওই যে তোমার শাজাহানের ছেলে ঔরঙ্গজেবটি, ওটি ভাই, তোমার গোলাপবাগে কাটগাছ । ও তোমার ভিটেয় ঘুঘু চরিয়ে ছাড়বে। আমার সঙ্গে পথে আসতে তার দেখ। হয়েছিল, একেবারে গোয়ার। আমি বেশ করে তাকে শিক্ষা দিয়ে এসেছি।’ ‘বেশ করেছ ভাই বোগদাদি ! তুমি শিক্ষা না দিলে আর দেবে কে ! দেখ, তুমি তো এলাহাবাদ হয়ে যাবে, পার তো জাহাঙ্গিরটাকে একটু বুঝিয়ে-সুঝিয়ে মদ খাওয়াটা ছেড়ে যাতে সে এখানে এসে একটু কাজকর্ম দ্যাখে সেইটে করে ভাই ।” “আচ্ছা তাই হবে।’ বলে মসুরকে নিয়ে আবার সতরঞ্চি উড়িয়ে চললুম, যমুনার কিনার দিয়ে। যারাব আগে আগারওয়ালা ছেলেদের জন্যে একরাশ পাথরের খেলনা সতরঞ্চিতে তুলে দিলে । তখন রাত প্রায় দুটো এলাহাবাদে পেচেছি। ভেবেছিলুন জাহাঙ্গির ওরা সব ঘুমিয়ে পড়েছে, কিন্তু গঙ্গা-যমুনাব ওপবে নৌকোর পুলের কাছে এসে দেখি কেল্লাট। একেবারে আলোয় আলোময় ; এক ক্রোশ থেকে মদেব গন্ধ, গানবাজনাব আওয়াজ, অব আতর-গোলাপেব খোসবে প’ ওয যাচ্ছে । কল্লায় একটা জলসা দেখে আমাকে ও একটু সেজে গুজে ফিটফাট হয়ে নতে হল । তালপর একেবাবে গিয়ে জাহাঙ্গিবেব খসি মজলিসে শাজির । জাহাঙ্গির আমাকে দেখেই থতমত খেয়ে গেল । তাড়াতাড়ি আমার হাত ধরে একেবাবে নুরজাহানেৰ ক'ছে নিয়ে বললে, অনেক পথ এসেছেন, এইখানে বিশ্রাম করুন ; আমার বন্ধুবান্ধবদের বিদায় করে আমি এলেম বলে !—বলেই জাহাঙ্গির সরে পড়ল । আমি নুরজাহানকে বললেম, "দেখ, আমায় এখুনি তাব র ল ওন। হতে হবে, জাহাঙ্গিরের সঙ্গে আজ রাতে অব দেখা হবার সম্ভাবনা S 이
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।