পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই মন্দিরে এসে লাগল। সেইদিনই রাত্তিরে সতরঞ্চি উড়িয়ে একেবারে মসুরের সেই মন্দিরে হাজির ৷ গিয়ে দেখি মন্দিরের সব আছে কেবল চুড়োটি নেই। ‘যাঃ ! সৰ্বনাশ হয়েছে মসুর । সিন্দুক সরিয়ে ফেলেছে মসুর ! এত কষ্ট করে আসা সব বৃথা হল মসুর ? বলেই আমি অজ্ঞান । ‘কর্ত্তাগো, কী হল !" বলেই মসুরও অচৈতন্ত । যখন আবার চোখ খুলেছি দেখি একটা ছোটো ঘরে কে আমাদের বন্ধ করে গেছে— একটি পিদিম আর এক ঘড়া জল দিয়ে । দেখি পিদিমের কাছে একটা বাক্স রয়েছে। বাক্সট লোহার, আর তার ওপরে পেতল দিয়ে লেখা রয়েছে— ‘সিন্ধবাদ । তাড়াতাড়ি বাক্সটা টেনে নিয়ে খুলতে যাব, দেখি পকেটে চাবিট ছিল সেটা কে চুরি করেছে ! ‘মসুর, চাবি নিলে কে ? নিশ্চয় তোর কাজ ! ‘না কত্তা, চাবি তো আমি নিইনি।” মিথ্যেবাদী, পাজি !”— বলেই সেই লোহাব বাক্সট ছুড়ে মেবেছি। যেমন মারা আর অমনি মসুর —‘বাপবে!’ বলে ঘুরে পড়া ; আর বাক্সটা খটাং করে খুলে একটা এক-বেগ দা মানুষ বেরিয়ে এসে আমার সুমুখে দাড়াল । এ কী, সিন্ধবাদ যে ! হাতে তাব সেই চাবিকাঠিটি । সিন্ধবাদ সামনে এসেই বলছে, "কী হারুন-অল-রসিদ ! —হীবানন্দ বাবাজি । সিন্ধবাদের হীরে পেলে কি ? চাবিট। তে; তবে পেট থে ক খুঁজে বার করলে ! এখন তীবেগুলো ও বাব করে। ’ “আমার সঙ্গে তামাশা ? —বলেই যেমন সিন্ধবাদকে ধবতে গেছি আর সে একেবারে চম্পট ! যন নিভে গেল ! আমার বড়ো ভয় হল ; এত বুজরুগি কাটিয়ে এসে শেষে কি উড়ে বুজরুগের পাল্লায় পড়লুম ! মসুর ! কথা কোসনে যে মো-সু-উ-ব ? মাথার ওপরে চামচিকে কিচ কিচ ক বলছে, ‘ন স্ট্রর কি আর অঁাছে সে কালো কি চকিন্দে মরে ভূত হয়ে গেছে, এই তীব্ধকারে ૨ ( :