কিচ কিন্দের গল্প সত্যযুগের মানুষ যজ্ঞডুমুবের গাছের সমান লম্বা ছিল, ত্রেতাযুগে লঙ্ক গাছ, দ্বাপরে ভাণ্ডীর, আর কলিতে লজ্জাবতী । এরপর মানুষ ক্রমে এত ছোটো হয়ে যাবে যে শেষে অঁাকশি দিয়ে তবে তাদের বিলিতি-বেগুনের গাছ থেকে বেগুন পাড়তে হবে । সেই ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র অবতীর্ণ হলেন– রাক্ষস-বংশ ধ্বংস করতে অর্থাৎ যেখানে বঁাশবন ছিল সেখানে লঙ্কাচারা আর বোম্বাইআম বসাতে ; যাতে মানুষ বোশেখ-জোষ্টি মাসে আমকাসুন্দি, ঝালকাসুন্দি খেয়ে বঁাচতে পাবে। বিশ্বাস না হয়, কামুন্দে আর ঝালুন্দেকে প্রশ্ন করো। এখন রামচন্দ্র জন্মালেন, কিন্তু লঙ্কাব ধোয়া দিয়ে রাক্ষস তাড়ানো তো তার কর্ম্ম নয়। এক-লস্ফে সমুদ্রই পার হয় কে ? কাজেই হনুমান এই কিষ্কিন্ধ্যায়— ওই যে মনসাতলার ঘাটে কাটাবন ওইখানে— জন্ম নিলেন । এদিকে হনুমানও জন্মেচেন আর ওদিকে রথে চড়ে সুযিামামা দেখা দিয়েছেন। মামার মুখটি যেন পাক৷ আমের মতো । দেখেই হনুমানেব লোভ হয়েছে, এক লাফে মামার কোলে ঝাপিয়ে উঠেছেন । মামা— ‘হনু ! হমু!— বলে আদর করে যেমন ভাগ্নেকে চুমু খেতে গেছেন আর হক্স দিয়েছেন মামার গালে এক কামড় !— ‘ওবে গেলুম, গেলুম ! ছাড়, ছাড় ! —আর ছাড় ! এমন সময় ইন্দ্রদ্যুম্ন যাচ্ছিলেন আকাশ দিয়ে। মামা-ভাগ্নেব ঝগড়া দেখে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বজ্জর । যেমন বাজ পড়া আব হনু ‘রাম ! রাম ? করতে-করতে ঠিকরে গিয়ে পড়েছেন ওই রামচণ্ডীতলায় ; আর মুষ্যিমামা রথমৃদ্ধ পড়েছেন ওই চন্দ্রভাগার কাছে কালিদয়ে বালির পাকে । মামার রথের চুড়োটা মচাং কবে 있&8
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।