গেল। তখন নারদ বুদ্ধি দিলেন, যাও ইন্দ্রহায়! রামচন্দ্রের কাছ থেকে রাবণের পুষ্পক-রথটা চেয়ে নাও । ইন্দ্রদ্যুম্ন এসে রামচন্দ্রকে ধরে বসলেন। রাম বললেন, ‘রাবণের রথ কেড়ে নেওয়া তো সহজ নয়, তোমরা যদি আমার সঙ্গে যাও তো হতে পারে। কিন্তু রাবণ যদি চিনতে পারে যে তোমরা দেবতা, তা হলে তোমার বিপদ ।” ইন্দ্রদ্যুম্ন বললেন, ‘আঞ্জে, আমরা বাদর সেজে রাবণের সঙ্গে लज्जद ।' রামচন্দ্র বললেন, ‘তথাস্তু।” তারপর রাম-রাবণের যুদ্ধ। হনুমান হলেন যত বাদরমুখে। দেবতাদের সেনাপতি ; আর আমি কিচ কিন্দে হলুম— কিচ কিন্দের দলে যত উড়ে, তাদের সেনাপতি। এই দুই দল নর-বানর— এদেরই কিক্তি কিক্তিবাসি রামায়ণে লেখা আছে। সে তো তুমিও জানো ? তারপর বলি শোনো— রাবণের কাছ থেকে পুষ্পক-রথ তো কেড়ে নিয়ে রামচন্দ্র অযোধ্যায় এসেছেন, ইন্দ্রছাম রথটি নিয়ে যান আর-কি, এমন সময় মুযিামামা এসে বলছেন, ‘বাপু রাম, ইন্দ্র বজর ফেলে আমার রথটি গুড়ো করেচেন, এখন পুষ্পক রথটি উনি নিলে আমি দু-বেলা আপিস করি কেমন করে । উনি রাজার ছেলে ঘরে বসে থাকলে চলে, কিন্তু সকাল-সন্ধে আমাকে যে এই সারা পৃথিবী ঘুরে আলো দিয়ে বেড়াতে হয়, আপিস-গাড়ি নইলে আমার চলবে কেন ? হনুমান ছিলেন বসে রামের কাছে, তিনি অমনি বলচেন, ‘ইন্দ্র আমাকেও বজ্জর মেরে দফারফা করেছিল আর-কি ! কেবল রামনামের জোরে বেঁচে আছি !’ ‘কী, রামদাসকে মারা ! ইন্দ্র্যুম্ন, যাও রথ তোমায় দেব না ? বলেই রাম সুযিামামাকে রথটা দিয়ে দিলেন। ইন্দ্র মুখ-চুন-করে ফিরে যান দেখে রামচন্দ্রের দয়া হল, তিনি হইমানকে ডেকে বললেন, ‘হয়, তুমি ইন্দ্রস্থ্যমকে নিয়ে সমুদ্রের ধারে ミQや
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।