সেটা ভয়ানক সত্যি, গল্পের মজা তাতে নেই, যেন বাঙলার ইতিহাস পড়ার মতো সব ঠিক-ঠিক একেবারে ঠিক । বলেই কিচ কিন্দে সত্যিযুগের কথা আরম্ভ করেছে— "সত্যে ব্রহ্মঙ্ক কর যাত-অ-অ, সত্য স্ব-রূ-প তু অনন্ত । সত্যে তোহার আত্ম যাত-অ-অ আস্তে জ-নি-লু তোর সত্য, তোর সঞ্চিল৷ সেয়ল-অ-অ-অ অস্থর মারি সাধু পাল-অ-অ-অঃ জগত তোর দেহু যাত-অ-অ, থিতি পালন করু অন্ত । তোহ মায়ারে মূরু-খ জন-অ-অ, আত্মাকু দেখন্তি সে ভিন্ন । পণ্ডিতে জানন্তি সে-এক-অ-অ, মায়ারে দিশই অনেক তু এ সংসারে দুঃখ সুখে-এ-এ শরীর বহু নানা রূপে সাধুকু দিশই নি-র-ম-ল-অ-অ খল-লোচনে যম কাল-অ-অ-অঃ। ‘ও কিচ কিন্দে, থাক্! তোমার কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝলুম না । আর-কোনো কথা থাকে তো বলে |’ সত্যিযুগের সব কথাগুলোই ওই রকম দাড়িওয়ালা মুনিগোঁসাইগুলোর মতো গোমস-মুখে । আচ্ছা শোনো । দ্বাপরযুগে রাখাল-ছেলে ভাণ্ডারগাছের তলায় দাড়িয়ে বঁাশি বাজাচ্ছে আর গোরু-বাছুর তার চারদিকে নেচে-নেচে গান গাইছে : কি মুন্দর মুরলী পা-নী রে সজনী। তাঙ্কু কে দিব অস্ত আ-নি-রে-এ সজনী । & Qbr
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।