বলতে-বলতে দেখি পালকি ডাইনে ঘুরেছে, আর দেখি রক্তশোষ। বাদিকে সরে গেছে । ‘বায়ে ধর ভাই, বায়ে ধর!' পালকি যেমন ব্যদিকে ঘুরেছে আর দেখি রক্তশোষা ডাইনে চলে গেছে। এমনি ডাইনে বায়ে করতে-করতে আমরা রক্তশোষার ঠোট এড়িয়ে ছাতা-মাথার ঘরে এসে পড়েছি। সেখানে দেখি কেবল ছাতা আর তার নিচে এক-একটা মুণ্ডু— গুটিস্থতোর মতো সোটা-সোটা চুল আর মুলোর পাতার মতো গোছা-গোছা দাড়ি । দূর থেকে মনে হচ্ছে যেন বিটপালং, গাজর, ওলকপি আর বিলিতিমুলোর ঝাক সব উল্টে পড়ে ভেসে যাচ্ছে । ও কিচ কিন্দে ! এরা কারা ? ‘এরা মালী। তোমার পিসির সবজি-বাগানে কাজ করছে।’ ‘এত তরকারি কি পিসি একাই খান ? তিনি ছাড়া আর কে খাবে ? এ তরকারি কারো ছোবার জে৷ আছে ! ছুলেই হাত চুলকে অস্থির হবে। যতক্ষণ না পিসি এগুলিকে নিজের হাতে রোধে-বেড়ে দেবেন ততক্ষণ কারো মুখে দেবার জো নেই। মুখে দিয়েছে কি আর গাল ফুলে গোবিন্দর মা হয়েছে ? ‘গালফুলে গোবিন্দর মা কে কিচ কিন্দে ? ‘তিনি আগে গোবিন্দর মা ছিলেন, পিসির এই সবজি খেতে ওলকপি তুলতে এসে একটি বিলিতি মুলো চুরি করে খেয়েছিলেন, সেই থেকে তার গাল ফুলে গেছে। গোবিন্দ আর র্তার মায়ের মুখ দেখেন না ।” ‘আচ্ছা কিচ কিন্দে, ওই যে টোক মাথায় দিয়ে মালীরা সব এই সবজি-খেতে কাজ করছে ওদের গা কই চুলকোয় না কেন ? ওদের গা থাকলে তো ! চুলকে চুলকে সব ক্ষয়ে গেছে। এদিকে দেখো বাবু, তোমার পিসির ধানের খেত। এখানে কেবল মুক্তোকলাই, দশবছরে একবার ফলে, আর তোমার পিসি সেই কলাইয়ের ডাল দিয়ে পাস্তাভাত দশবছর অন্তর একদিন খান ? "అతి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।