কুমড়ে দিয়ে কাকড়ার ঝোল, লাউ-চিংড়ি আর গুড়-অম্বল খেতে নোলা সকসক করে উঠল। ও কিচ কিন্দে, পিসির বাড়ি আর কতদূর ? ‘এই তো এসেছি:বাবু তোমার পিসির খিড়কি-পুকুরে। ওই দেখ কত রাঘব-বোয়াল আর পায়রা-চাদা মাছ পুকুরে ঠাসা রয়েছে ? বাপরে ! এমন সব মাছ তে কখনো দেখিনি ! যেন এক-একটা জাহাজ ভেসে বেড়াচ্ছে । কারো ভাটার মতো চোখ, কারো গাময় চাকা-চাকা অঁাশ, কারো মাথায় শিং, কারো গালে গোফ, কারো থে তা মুখ, কারু মুখ বা ছু চলো, কেউ লম্বা কাঠি, কেউ গোল একটি বেলুনের মতো ! লাল নীল সবুজ কত রঙের কত রকমের যে মাছ পিসির পুকুরে ছাড়া রয়েছে— তা আর কী বলব ! গল্প শুনতে শুন.৩ cখমন ঘুম পায় তেমনি পিসির বাড়ির সাতঘাটের কাণ্ডকারখানা দেখতে-দেখতে আমার ঘুম পেয়ে এল । ও কিচ কিন্দে, বড়ো ঘুম আসছে, আর যে চোখ বুজে থাকতে পাচ্ছিনে ? ‘বেশ তো বাবু, ঘুমোও চোখ খুলে, আর তো দেখবার কিছু নেই, রাত পোহালেই এই পুকুরের ওপারে তোমার পিসির বাড়ি পৌছে দেব ? আমি অকাতরে ঘুম দিচ্ছি এমন সময় শুনছি পিসি ডাকছেন, ‘অবু, ও অবু, ওঠ, রাত হয়েছে, আর কত ঘুমোবি ? সুয্যি যে অনেকক্ষণ নেমেছেন ।” কিচ কিন্দে বলছে, পিসিম, দাদাবাবু সারাদিন পালকিতে ঘুমোননি, একটু ঘুমোতে দাও, এই তো সবে মুর্যি নেমেছেন, এখনো তো রাত বেশি হয়নি।’ কিচ কিন্দের গলা পেয়েই আমার ঘুম ভেঙে গেছে । তাড়াতাড়ি উঠে বসে দেখি – পিসির বাড়ির ছাদে শুয়ে আছি আর আকাশে একটা কালে মুর্যি উঠেছে। আমাকে উঠে বসতে দেখে কিচ কিন্দে ఫి ఆసి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।