পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন সময় এক জেলে জাল ঘাড়ে নদীতীরে দেখা দিল । প্রকাও ' জালখানা মাথার উপর ঘুরিয়ে নদীর উপর উড়িয়ে দিলে ; মেঘের মতো কালো জাল আকাশে ঘুরে, নদীর এ-পার ও-পার দু-পার জুড়ে জলে পড়ল। সেই সময় মাছের সর্দার, নদীর রাজা, বুড়ে মাছ রুই অন্ধকারে সন্ধ্যার সময় সেই নদী-ঘেরা কালো জালে ধরা পড়ল । জেলে পাড়ায় রব উঠল— জাল কাটবার গুরু, মাছের সর্দার, বুড়ে রুই এতদিনে জালে পড়েছে। যে যেখানে ছিল নদীতীরে ছুটে এল। তারপর অনেক কষ্টে মাছ ডাঙায় উঠল । এত বড়ো মাছ কেউ কখনো দেখেনি। আবার যখন সেই মাছের পেট চিরতে সাতরাজার ধন এক মানিকের আংটি জ্বলন্ত আগুনের মতো ঠিকৃরে পড়ল তখন সবাই অবাক হয়ে রইল। যার মাছ ৩ার আনন্দের সীমা রইল না । গরিব জেলে যেন আকাশের চাদ হাতে পেলে । মাছের ঝুড়ি, ছেড়া জাল জলে ফেলে মানিকের আংটি সেকরার দোকানে বেচতে চলল। রাঙ্গ শকুন্তলাকে যে-আংটি দিয়েছিলেন– এ সেই আংটি । শচীতীর্থে গা-ধোবার সময় তার আঁচল থেকে যখন জলে পড়ে যায় তখন রুইমাছট। খাবার ভেবে গিলে ফেলেছিল । জেলের হাতে রাজার মোহর আংটি দেখে সেকরা কোটালকে খবর দিলে । কোটাল জেলেকে মারতে-মারতে রাজসভায় হাজির করলে । বেচারা জেলে রাজদরবারে দাড়িয়ে কাপতে কাপতে কেমন করে মাছের পেটে আংটি পেয়েছে নিবেদন করলে । রাজমন্ত্রী দেখলেন সত্যিই আংটিতে মাছের গন্ধ। জেলে ছাড়া পেয়ে মোহরের তোড়া বখশিশ নিয়ে নাচতে নাচতে বাড়ি গেল । এদিকে আংটি হাতে পড়তেই রাজার তপোবনের কথ। সব মনে পড়ে গেল । শকুন্তলার শোকে রাজা যেন পাগল হয়ে উঠলেন। বিনা দোষে তাকে দূর করে দিয়ে প্রাণ যেন তুষের আগুনে পুড়তে লাগল। মুখে অন্য কথা নেই, কেবল—‘হা শকুন্তলা – হা শকুন্তলা ? আহারে, বিহারে, শয়নে, স্বপনে, কিছুতে মুখ নেই ; রাজকার্যে ›ፃ *{, &ーミ