আশ্চর্য এক শাদা আলো ; তার মাঝে সিকুরের টিপের মতো সূর্য উঠছেন । রাজা শুদ্ধোদন এই আশ্চর্য আলোর দিকে চেয়ে আছেন, এমন সময় মায়াদেবী জেগে উঠে বলছেন, মহারাজ, কী চমৎকার স্বপ্নই দেখলেম! এতটুকু একটি শ্বেতহস্তী, দ্বিতীয়ার চাদের মতো বাকা-বাক কচি ফুটি দাত, সে যেন হিমালয়েব ওপার থেকে মেঘের উপর দিয়ে আমার কোলে নেমে এল, তারপর যে কোথায় গেল আর দেখতে পেলেম না! আহ, কপালে তার সি দুরের টিপের মতো একটি টিপ ছিল।’ রাজা-রানী স্বপ্নের কথা বলাবলি কবছেন, ইতিমধ্যে সকাল হয়েছে, রাজবাড়ির নবৎখানার বাশি বাজছে, রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাফেরা করছে, মন্দিব থেকে শাখঘণ্টাব শব্দ আসছে, অন্দরমহলে রাজদাসীরা সোনার কলসীতে মায়াদেবীব চানের জল তুলে আনছে, মালিনীরা সোনার থালায় পুজোব ফুল গুছিয়ে রাখছে। রানীর পোষা ময়ূব ছাদে এসে উড়ে বসল, সোনার খাচায় শুকশারী খাবারের জন্য দাসীদেব সঙ্গে ঝগড়া শুরু কবে দিলে, ভিথিবী এসে ‘জয় রানীমা !’ বলে দরজায় দাড়াল। দেখতে-দেখতে বেলা হল, রাজবাড়িতে রানীর স্বপ্নের কথা নিয়ে সকলে বলাবলি করতে লাগল । কপালে রক্ত চন্দনেব তিলক, মাথায় মানিকের মুকুট, পরনে লাল চেলী, সকালে সূর্যেব মতো বাজা শুদ্ধোদন রাজসিংহাসন আলো কবে বসেছেন। পাশে মন্ত্রীবব, র্তার পাশে দণ্ডধর’— সোনার ছড়ি হাতে, ওপাশে ছত্রধর— শ্বেতছত্তর খুলে, তার ওপাশে নগরপাল—ঢাল-খাড়া নিয়ে । রাজার দুইদিকে দুই দালান ; একদিকে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত, আরএকদিকে দেশবিদেশের রাজা আর রাজপুত্র। রাজসভা ঘিরে দেশের প্রজ, তাদের ঘিবে যত চুয়ারী— মোট রায়র্বাশের লাঠি আর কেবল লাল-পাগড়ির ভিড় । রাজসভার ঠিক মাঝখানে লাল চাদোয়ার ঠিক নিচে আটখানি Sίνο,
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।