নিয়ে পৃথিবীর উপরে প্রথম সাত পা চলে যাচ্ছেন! সুন্দর পা স্থখানি যেখানে-যেখানে পড়ল সেখানে-সেখানে অতল, মুতল, রসাতল ভেদ করে একটি-একটি সোনার পদ্ম, আগুনের চরকার মতে, মাটির উপরে ফুটে উঠল; আর স্বর্গ থেকে সাতখানি মেঘ এসে সাত-সমুদ্রের জল এনে সেই-সেই সাতটি পদ্মের উপরে ঝির-ঝির করে ঢালতে লাগল ! নালক আশ্চর্য হয়ে দেখছে, দেব-দানব-মানবে মিলে সেই সাতপদ্মের মাঝখানে বুদ্ধদেবকে অভিষেক করছেন । এমন সময় নালকের মা এসে ডাকলেন– “দস্তি ছেলে ! ঋষি এখানে নেই আর তুমি একা এই বনে বসে রয়েছ! না ঘুম, না খাওয়া, না লেখাপড়া— কেবল চোখ বুজে ধ্যান করা হচ্ছে ! এই বয়সে উনি আবার সন্ন্যাসী হয়েছেন । চল, বাড়ি চল্ ! মা নালকের হাত ধরে টেনে নিয়ে চললেন, নালক মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে বলতে লাগল— ছেড়ে দাও মা, তারপর কী হল দেখি । একটিবার ছাড়ো । মাগো, ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ! সমস্ত বন নালকের দুঃখে কেঁদে-কেঁদে বলতে লাগল— ছেড়ে দে, ছেড়ে দে! আর ছেড়ে দে ! একেবারে ঘরে এনে তালাবন্ধ ! নালককে তারা জোর করে গুরুমশায়ের পাঠশালায় দিয়েছে । সেখানে গুরু বলছেন— ‘ওকাস অহং ভন্তে ? নালক পড়ে যাচ্ছে— ভন্তে । গুরু বলছেন— ‘লেখ, অনুগগহং কত্ব সী, দেথ মে ভস্তে । নালক বড়ো-বড়ো করে তালপাতায় লিখে যাচ্ছে— ‘লীলং দেথ মে ভন্তে । কিন্তু তার লেখাতেও মন নেই, পড়াতেও মন নেই! তাব প্রাণ বর্ধনের বনে সেই বটতলায় আর সেই কপিলবাস্তুর রাজধানীতে পড়ে আছে । পাঠশালের খোড়ো-ঘরের জানলা দিয়ে একটি তিন্তিড়ী গাছ, খানিকটা কাশ আর র্কাটবেন, একটা বঁাশঝাড় আর একটি পুকুর দেখা যায়। ছপুরবেলা একটুখানি রে। সেখানটা এসে পড়ে, একটা লালবুটি কুবোপাখি ঝুপ করে ডালে এসে বসে আর কুব কুব, રજ છે
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।