সমান মানুষ হয়েছে। এখন তার বয়স দশ বছর । সুজাতার ছেলে হয়নি, তাই তিনি পুন্নাকে মেয়ের মতো যত্ন করে মানুষ করেছেন । আর মানত করেছেন যদি ছেলে হয় তবে এক-বছর বটতলায় রোজ একটি ঘিয়ের পিদিম দিয়ে নতুন বছরের পূর্ণিমায় ভালো করে বটেশ্বরকে পুজো দেবেন। সুজাতার ঠাকুর সুজাতাকে একটি সোনার চাদ ছেলে দিয়েছিলেন, তাই পুন্না রোজ সন্ধ্যাবেল একটি ঘিয়ের পিদিম দিতে এই বটতলায় আসে। আজ এক বছর সে আসছে, কোনো দেবতাকে কিন্তু স্পষ্ট দেখতে পায়নি। কখনো সে আসবার আগেই ছায়ার মতো দেবতার মূর্তি মিলিয়ে যেত, কখনো-বা সে গাছের তলায় পিদিমটি রেখে যখন একলা, পায়ে হেঁটে নদী পার হয়ে ফিরে চলেছে, তখন দেখত যেন দেবতা এসে সেই পাথরের বেদীর উপরে বসেছেন । আজ শী৩ের ক’মাস ধরে পুন্না ছায়ার মতে যেন পাতলা কুয়াশার ভিতর দিয়ে দেবতাকে দেখেছে। এ কথা সে সুজাতাকে বলেছিল— আর কাউকে না । সুজাতা সেই দিন থেকে পুন্নাকে দেবতার জন্যে আঁচলে বেঁধে দুটি করে ফল নিয়ে যেতে বলে দিয়েছিলেন । আর বলে দিয়েছিলেন, যদি দেবতা কোনোদিন স্পষ্ট করে দেখা দেন, কি কথা কন তবে যেন পুন্না বলে— দেবতা ! আমার সুজাতা-মাকে আমার বাবাকে আমার ছোটো ভাইটিকে আর আমার মোড়লদাদাকে ভালো রেখো । বড়ো হলে আমি যেন একটি সুন্দর বর পাই । এমনি করে পুন্নার হাত দিয়ে স্বজাত দুটি করে ফল সেই বটতলায় পাঠিয়ে দিতেন । তিনিও জানতেন না, পুন্নাও জানত না যে সিদ্ধার্থ রোজ সন্ধ্যাবেলা সেই বটতলায় ঠাণ্ডা পাথরের বেদীর উপরে এসে বসেন । আজ বছরের শেষ ; কাল নতুন বছরের পুর্ণিমা । পুন্না আজ সকাল করে পাচটি পিদিম, পাচটি ফল থালায় সাজিয়ে একটি
- ) נס