পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপদস্থ করিতে চাহেন। অজ্ঞাতনামী মহিলা কেন যে সাহােজাদীর কোপে পড়িলেন এবং কেনই বা জেবুন্নেসা তাহার উপর ঝাল ঝাড়িতে চাহেন তাহা জানিবার উপায় ছিল না। বুড়ারানী মহা বিপদে পড়িলেন এবং সকল দিক বজায় থাকে এরূপভাবে সাহাজাদীকে বলিলেন– “লড়ায়ের পূর্বেই সকলে যখন রণে ভঙ্গ দিল তখন এ ক্ষেত্রে বিনাযুদ্ধে বাদশাজাদীরই জয় বলিতে হইবে, তবে নেহাৎ যদি লড়ায়ের সাধ হইয়া থাকে তো আমি আছি, স্বয়ং বাদশা আসিয়া বিচার করুন আমি সুন্দরী কি সাজাদী সুন্দরী ।” রানীজীর কথায় সুন্দরীমহলে একটা হাসির রোল উঠিল । সকল সুন্দরী একবাক্যে বলিয়া উঠিলেন— আমরা স্বইচ্ছায় সাজাদীর কাছে পরাজয় স্বীকার করিতেছি, বাদশাহের পুরস্কার ইহারই পাওয়া উচিত। বুড়ারানী এই সুযোগে জেবুন্নেসাকে আরো একটু খুশি করিয়া দিবার জন্য বলিলেন– “দেখ সুন্দরীগণ, তোমরা সকলেই আসামী, আর আমাদের সাহাজাদী ফরিয়াদী, আমি হলেম কাজী সাহেব ; তোমর। সকলে যখন তোমাদের রূপের দোষ কবুল যাইতেছ তখন সাহাজাদীর পক্ষে একতরফা ডিক্রী দেওয়া গেল ও তোমাদের এই হুকুম দেওয়া যায় যে সকলে একে একে আসিয়া নিজের নাম ধাম ও পরিচয় দিয়া সাহেনস ঔরঙ্গজেব বাদশার রূপবতী গুণবতী দয়াবতী দুহিতা কুমারী জেবুন্নেসাকে কনিশ করিয়া বিদায় হও ।” সুন্দরীর দল বাদশাজাদীকে যথারীতি সেলাম বাজাইয়া দূবে গিয়া হাপ ছাড়িয়া বাচিলেন। সকলের কুনিশ শেষ হইলে বাদশাজাদী বলিয়া উঠিলেন– “কই যোধপুরের বৌরানীকে দেখিলাম না যে? দেখ, তো বৌশন তিনি এসেছেন না ?” রোশন চারিদিক দেখিয়া আসিয়া বলিল— “কই তাহাকে তো দেখিলাম না ।” সাহাজাদী বলিলেন– “তুই ভালো করিা দেখিয়া আয়, বোধ হয় অন্য ঘরে আছেন।” রোশন আবার ছুটিল । আমেরের বুড়ারানী ළුLA