ডাকিয়া পাঠাইলেন। রোশন মীনাবাজার হইতে ফিরিবার সময় । সাহাজাদীর মুখের ভাব বিশেষ লক্ষ্য করিয়াছিল এবং বৌরানীর অবগুণ্ঠন খুলিবার কালে তাহার নথের অকারণ চাঞ্চল্যটার প্রতি সাহাজাদীর যে বিলক্ষণ নজর পড়িয়াছিল সেটাও রোশন জানিত, কাজেই বেচারা একটু বিশেষ চিন্তিত মনে সাহাজাদীর মহলে উপস্থিত হইল। রোশন গিয়া সাহাজাদীর মুখে হাসি দেখিবে এটা স্বপ্নেও ভাবে নাই। সেজন্য যখন রোশন আসিবামাত্র জেবুন্নেসা তাহার খাদ নাকে বড়ো একটা মুক্তার নথ পরাইয় তাহার হাতে বহুমূল্য একটি চীনদেশীয় আয়না দিয়া বলিলেন– “দেখ দেখি নথটা তোর নাকে মানাইয়াছে কেমন " তখন রোশন হতবুদ্ধি হইয়া দাড়াইয়া রহিল। সাহাজাদী বলিলেন– “জনিস এই আয়না চীনের রাজা বাদশাকে দিয়াছে। তুই এখান যোধপুরের বৌরানীকে দিয়া আসিতে পারিস ? সে যেমন সুন্দবী এ আয়না তারই উপযুক্ত। বলিস এখানি বাদশার পুরস্কার ।” রোশনের যতটুকু বুদ্ধি ছিল এইবার লোপ পাইল এবং সাহাজদীকে সেলাম করিয়া খোদার নাম স্মরণ করিতে করিতে কম্পিত চরণে অগ্রসব হইল। রোশনকে অধিক দূর যাইতে হইল না, মধ্যপথে হঠাৎ বহুমূল্য সেই মুকুব তাহার হস্তচু্যত হইয়া পাষাণেব উপর চুরমার হইয়া গেল। কাচের ঝনঝনায় সাহাজাদী ছুটিয়া আসিয়া দেখিলেন সেই ব:মূল্য আয়ন ভাঙিয়া চুর হইয়াছে। রোশন সাহাজাদীকে দেখিয়া কপালে করাঘাত করিয়া বলিল— “অজকজা আইনে চীনই শিকস্ত!” সাহাজাদী প্রথমে কতক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় হঠাৎ করতালি দিয়া বলিয়া উঠিলেন— “খুব শুদ্ আস্বাব খুদ্রবিনি শিকস্ত ।” রোশন এতক্ষণ মনে মনে পীরের সিবনী মানিতেছিল, সাহাজাদীর কথায় অভয় পাইয়া একেবারে দরজার অভিমুখে ছুটিল । আর OLතු श्र. २-३२
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।