পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদয়াস্ত বৃদ্ধ কাশ্মীরপতি র্তাহার প্রিয়তম পুত্র সুকণ্ঠ এবং মুকবি হর্ষকে কবিত্বের পুরস্কারস্বরূপ রাজসিংহাসন দান করিতে অভিলাষী হইলেন। কিন্তু পিতাপুত্রের মাঝখানে কঠোর ব্যবধানের মতো বর্তমান ছিলেন হর্ষের বিমাতা, বৈমাত্রেয় ভ্রাতা এবং চক্রান্তপটু মন্ত্রিদল । পিতৃস্নেহেব এমন শক্তি ছিল না যে সে বাধ ঠেলিয়া ফেলে সুতরাং স্নেহাতুর পিতা এবং গুণবান কুমাবের মধ্যে কারাপ্রাচীর কঠোরতর এবং দৃঢ়তর হইয়া উঠিতে বিলম্ব হইল না। মহৈশ্বর্যের সুতীক্ষ্ণ জ্যোতিঃপিঞ্জরাবদ্ধ অক্ষম রাজা পলে পলে বিলুপ্তির চিরান্ধকাব কামনা করিয়া বাচিয় বহিলেন আর নিরাশায় নিমগ্ন পদ্মকোরকের ন্যায় বাজকুমার হর্ষের তরুণ জীবন কারাগারের সূচীভেদ্য অন্ধকারে কোন সৌভাগ্যেব অৰুণালোকের প্রতীক্ষায় রহিল । শেষে একদিন দেখা দিল বুদ্ধ পিতাব মনস্কামনা পূর্ণ করিয়া, স্নেহবঞ্চিতের চিরবাঞ্ছিত ক্লান্তির প্রশান্তি জীবনমরুল প্রখব আলোর উপরে অপরূপ কালে অসীম রাত্রি ; আর আসিল সমস্ত উৎসাহ উদ্যম জাগরিত করিয়া তরুণ রাজপুত্রেব নিকটে অন্ধকালাগারের বন্ধ হুয়ার মুক্ত করিয়া কালোর পাবে অপরূপ আলো !— উদয়াস্তের সন্ধিস্থলে পুত্রেব দিকে পিতা, পিতাব দিকে পুত্র চাহিয়া রহিলেন। হর্ষেব বীণা দুইটিমাত্র জীবনতন্ত্রীতে ঝঙ্কার দিয়া বাজিতে থাকিল— জয় জয় জয় জয় ! তাহাব পরে কতকাল চলিয় গেছে – যে অপূর্ব ঘনঘটা একদিন কালোর ওপারে বিদ্যুতের আলো এবং আলোর উপরে S)& o