পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয় এই আশ্চর্য পাখির গানের কাছে — এ পাখির খবর কিছু রাখ ? তত্ত্বাবধানিক দেখলেন হুজুরের চোখ সম্পূর্ণ বন্ধ হতে আর লহমাদুই বাকি ; তখন তিনি সেই সময়টুকু কাটিয়ে দেবার জন্যে রয়ে-বসে জবাব দিচ্ছেন– “হে প্রবল-প্রতাপ ! ভবদীয় দাসামুদাসের নিবেদন এই যে— মহারাজ রাজ্যের সংবাদ ও খবর অর্থাৎ যে খবর যথার্থ খবর— খবরের মতো খবর, তা এ দাসের অবিদিত নাই । আজ্ঞাধীন সকল খবরই রাখে মহারাজ, কিন্তু এই কাল্পনিক পাখি, এর গানের ইতিহাস পুস্তক-প্রণেতার কল্পনা— যাকে পণ্ডিতেরা বলেন কবি-কল্পনা — স্ব-ত-রাং– ' হুজুরের চোখ তখন পূর্ণ বন্ধ হয়েছে ; তিনি বললেন— ‘ছঃ কল্পনাই ব-টে— তারপর আর র্তার সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না । পাখির খবরের দায় থেকে উদ্ধার হয়ে কর্মচারী পায়ে পায়ে সরে পড়েন, এমন সময় সেই দুই মশা আর-একবার হুজুরের কানে পেী করে ভেঁপু বাজিয়েছে। মন্ত্রী প্রায় দরজা পার হয়েছিলেন, কর্তার নিদ্রাভঙ্গ হতেই ভিনি হুয়োরের গোড়ায় পাপোছখানার উপরেই বাপ, করে বসে পড়েছেন। কর্তা আর-একবার চশমা এটে কর্মচারীর দিকে ফিরে বললেন— ‘সব কথাই তুমি কল্পনা বলে উড়িয়ে দিতে চাও ! বিদেশের কেতাবে যখন এ পাখির কথা উঠেছে তখন এটা মিথ্যে হতে পারে না ; আমি জানি তার কাজের মানুষ, আবোলতাবোল বাজে বকা তাদের কুষ্ঠিতে লেখে নি। এই পাখির গান আমার না শুনলেই নয়। আজ সন্ধ্যার সময় তাকে আমার মজলিসে হাজির করবে, আমার গানের ওস্তাদ সবাইকেও নিমন্ত্রণ করবে— যাও ’ কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দিচ্ছে, তত্ত্বাবধানিক ভাবতে ভাবতে চলেছেন, কেমন করে পাখির সন্ধান করি ? দেশের কেউ যার খবর জানে না তাকে ধরা তো সহজ নয়। এমন সময় হুজুর বললেন— ‘আমার এ ঘরে মশার উৎপাত হয়েছে । আচার্যিদের দিয়ে মশা হবার tటన