পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের সভাসমিতি কমিটি জমিটি এ-সভা ও-সভা এ-সমাজ ওসমাজের বাৎসরিক রিপোর্টগুলো আনিয়ে কর্মচারী দেখলেন সেখানেও পাখির নামগন্ধ নেই। দেশের গণ্যমান্ত বুধ-বৃহস্পতির সভার সদস্যমণ্ডলী বলে পাঠালেন— তাদের কমিটির একখানি কীটদষ্ট প্রাচীন রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছে যে, কর্মচারী র্যার সন্ধান করছেন তাকে এই সভা থেকে একবার একটি সম্বর্ধনা ও রুপার তাম্রশাসন ও স্বর্ণলেখনী মায় মস্তাধার দেবার প্রস্তাব উঠেছিল এবং বাৎসরিক হিসাবে নিকাশে সভা তার একটা চুম্বকও পাচ্ছেন কিন্তু উক্ত রিপোর্টের সন তারিখ ইত্যাদি এমনভাবে কীটদষ্ট হয়েছে যে তার চিহ্নমাত্রও পাওয়া দুষ্কর। হুজুরের তহবিল থেকে কিঞ্চিৎ অর্থ-সাহায্য হলে কীঠ-ভাষা-তত্ত্ববিদগণের দ্বারায় এই পুথির মাসপঞ্জী ইত্যাদি অংশ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব, অন্তত উক্ত পুথির জন্য একখান খেরুয়া বস্ত্র পেলেও আপাতত র্তারা হুজুরকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুখী করতে পারেন ' কর্মচারী আশা করেছিলেন দেশের সব সভা-সমিতিগুলোর নজির দেখিয়ে তিনি হুজুবের কাছে প্রমাণ করবেন— বিদেশী-মাত্রেই মিথ্যা কথা বলছেন, পাখি সম্বন্ধে তাদের কল্পনা ও জল্পনার মূলে কোনো তথ্য— যাকে বলে বস্তু’— তা নেই ; কিন্তু বুধ-বৃহস্পতি কমিটির স্বর্ণ-লেখনী মায় মস্তাধার ও তাম্রশাসন । পাখিকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেওয়া বরং চলে কিন্তু সোনার মস্তাধার, রুপার তাম্রশাসন – এরা যে বস্তু', এদের জন্য যে খাতায় জমাখরচ লেখা রয়েছে এর বিল আছে ভাউচার আছে, রসিদ স্ট্যাম্প আছে— এগুলোকে তে ওড়ানো সহজ নয় ! এদিকে বেলা পাচটা হয় ; ছয়টায় মজলিস। কর্মচারী নিরুপায় হয়ে স-উকিল নিজেই একবার পাখির খবর করতে অগ্রসর হলেন । বলা বাহুল্য, যাত্রার পূর্বে কর্মচারী উকিলের পরামর্শ মতো বুধসভাকে খুব ভয় দেখিয়ে একখানা চিঠি দিয়ে গেলেন যাতে ভবিষ্যতে রিপোর্টাদি বিষয়ে তারা সতর্ক থাকেন এবং তার দ্বিতীয় পত্র না পাওয়া পর্যন্ত এই পাখি সম্বন্ধে কোনো প্রকাশ্য সভায় কোনো 'రిల8