পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গভীর রজনীতে বিশ্ব যখন ঘুমে ঘুমায়িত, সেই শুভমুহূর্তে পশুশালার তালাবদ্ধ লৌহ-পিঞ্জরাবলীর অগলাদিও লৌহ-শলাকাসস্কুল শৃঙ্খলাবদ্ধ দ্বারাদি উন্মুক্ত করে দিয়ে গেলেন। আজীবন বন্দী, চিরদিন বন্ধ জীব মুক্তির মধুরাস্বাদ পেয়ে বীর-রসের রুধিরাম্বাদে বলীয়ান হল ও উন্মুক্ত আকাশ-তলে পুনরায় দাড়িয়ে সিংহনাদ হ্ৰেষা বৃংহিত চিৎকার চিচিকার করে একে একে এসে জাস্তবীয় ভৈরব চক্রে স্ব-স্ব স্থান অধিকার করে বসল। জাতি-নির্বিশেষে গৃহপালিত গবাদি চক্রের সম্মুখভাগে, শাদূর্লাদি বন্যগণ চক্রের পশ্চাতে এবং সরীস্থপাদি ভূচরগণ চক্রের তলদেশে ও জলচর খেচরগণ চক্রের উধ্ব দেশে আশ্রয় করলেন, আর বিরাট এই জেস্ত-সভার কার্যাবলী নিরীক্ষণ করবার মানসেই যেন চন্দ্রম সেদিন পূর্ণকলায় উদ্ভাসিত হয়ে, অন্ধকার তরুশিখর ছাড়িয়ে ক্রমে আকাশে আরোহণ করতে থাকলেন । (সাধু সাধু ) মানুষদের মধ্যে রাষ্ট্রনীতি, সমাজ-সংস্কার এমনি সব ব্যাপাব নিয়ে বিরাট সভা অনেক হয়েছে এবং সে-সব সভায়খিটিমিটি ঝগড়াঝাটি হাতাহাতি গালাগালি এমন-কি, জুতো-মারামারিও হতে বাকি নেই, কিন্তু আমাদের এই জেস্ত-সভায় বড়ো বড়ো হাড়ভাঙা ঘাড়-ভাঙাদের কথা দূরে থাক, মশা মাছি টিকটিকিট পর্যন্ত যে শাস্তশিষ্টভাব দেখিয়েছেন তা কোনোকালে কোনো সভায় গিয়ে মানুষ পারে নি, পারবেও না । হেড়েলের ডাকের মধ্যে কে জানে সেদিন কেমন একটি অপূর্ব কোমল সুর লেগেছিল— অরগানের তিন সপ্তকে যতগুলি কোমল কালো সুর সবগুলি একই সঙ্গে ! আর রাজহংসের গলা থেকে কড়ি সুরের ঝরনা কারুণ্য রসে সবাইকে বিগলিত-প্রায় করে দিয়েছিল ( বেশ, বেশ ! আহা ! ) প্রার্থল কী অপূর্ব সংগীত, কী স্বৰ্গীয় সুধাময় মুম্বর ! আহা কী দেখলেম, কী শুনলেম, জীবন ধন্য হল, আত্মা পবিত্র হল, দেহ-মন জুড়িয়ে গেল ! শাস্তি:, শাস্তি:, চারিদিকে শাস্তিঃ ! উত্তরে শাস্তি, দক্ষিণে শাস্তি, পুবে শাস্তি, পশ্চিমে শাস্তি, উর্ধ্বে শাস্তি, অধে শাস্তি, ভিতরে Wor's