স্বৰ্গপথে যাত্রা করি। উচ্চৈঃশ্রবার শেষ সন্তান আমরা, বাস্তবিকই আপনাদের কৃপাপাত্র এ বিষয়ে সন্দেহ নাস্তি ? সভাপতি ষাড় ঘোড়ার দুঃখ-কাহিনী আর গোচারণের মাঠগুলির কথা শুনে এতই কাতর হলেন যে, দশ মিনিটের জন্তে সভার কাজ বন্ধ রাখবার জন্যে তিনি ঘণ্টা দিয়ে একবার বাইরে বিশ্রাম করতে চললেন । জলচরগণ এই সময় একবার খালে বিলে নেমে জলযোগ করে নিতে লাগল ; খেচরদের মধ্যে কেউ কেউ উড়ে উড়ে একটু হাওয়া খেয়ে নিলে, আর উভচর স্থলচর, তারা— কেউ স্থলপদ্মের ডাটা, কেউ বা মাছের র্কাট, কেউ মুরগির ঠ্যাং, কেউ বা তার চেয়ে মোটা হাড় দাতে ভেঙে চটপট ব্রেকফাস্ট করে নিতে লাগল। দশ মিনিটের পরে আবার টুংটং করে গলঘণ্টা বাজিয়ে ষাড় মাঠ থেকে এসে মাচায় ঢুকলেন, সবাই যে যার জায়গায় বসলে, বাঘেশ্বরী রাগিণীতে রায়বাঘিনীদের জাতীয় সংগীত আরম্ভ হল : ( রাগিণী বাঘেশ্বৰী ) নীলাং অম্বরাং মেঘৈর্মেন্ত্ররাং নমামি তোমারে! ঘটা-জালিকা মেঘমালিকা বায়ুরূপিকা হে মা ধরণী জনম-দায়িনী ! জগজন-মন-মোহিনী, পশুপতি-শিশুপালিনী ত্বম্। ( কোরাস ) ফলং জলং ফিড়িং ফড়িং পী চক্ চকু ফটিক জল ! মাথার উপরে আকাশ আরো নীল হয়ে উঠুক, নিশাচরদের সুখের রাত্রি নিরাপদ হয়ে থাকুক, মশার গুঞ্জন মাছির ভ্যান ভ্যান দিনেরাতে শোনা যাক, পৃথিবীর বুকে কেঁচোমাটি কুণ্ডলী পাকিয়ে রমণীর খোপার মতো শোভা পাক, উইঢিপির কীর্তিস্তম্ভ মেঘও ছাড়িয়ে উঠুক— স্বরে এমনি সব নানা প্রার্থনা জানিয়ে চাতকপাখি গান শেষ করার পূর্বেই সবাই চেচিয়ে উঠল— বাজে বোকো না, কাজের কথা কও, কাজ, কাজ, কাজ ’ গাধা বলে উঠলেন— ‘ওহে \లిఫిసి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।