পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষী, ওই রাগিণীতে গা আর ধা’ ছটাে সুরই তুমি একেবারে বাদ দিয়ে গেয়েছ। ওটা ভুল হল, বাঘেশ্বরী ওতে ফুটলই না ? কান্দাহারের উট প্রস্তাব করলে— ‘যাতে করে মানুষ নিজের পায়ে হঁটিতে শেখে ও হাটিতে শেখায় অভ্যস্ত হয় এবং ভবিষ্যতে বড়ো বড়ো জানোয়ারদিগের পৃষ্ঠে না ছওয়ার ঐতে পারে ঐরূপ একটা বন্দোবস্ত সভা ঐতে তুরন্ত যাতে করা হয়, আমি তাহার জন্য প্রস্তাব করিতেছি এবং সইভ্যগণের ও সভাপতির দৃষ্টি এবিষয় আকর্ষণ করিতেছি।’ সভাপতি ষাড় দেখলেন সত্যিই প্রস্তাবটা উট করেছেন মন্দ নয়, তিনি উৎসাহিত হয়ে উটকে ডেকে শুধোলেন– “এই ভালো কাজে সভা হাত দিলে তুরস্কের পেরু এবং কাফ্রিস্তানের উটপাখি এর কিছু অর্থ-সাহায্য ও সহানুভূতি করতে রাজি কি না। অষ্ট্ৰিচ ও পেরু দুজনেই গম্ভীর মুখে চুপ রইলেন আর কান্দাহারের উট তোবা’ বলে দুবার ঘাড়, নাড়লে, হ্যা-না কিছুই বোঝা গেল না। শুয়োর উঠে বললেন– “মানুষগুলো যতদিন না বৈষ্ণব ধর্ম নেয় আর কসাইখানাগুলো বন্ধ হয়ে তাদের মধ্যে কেবল কুমড়ো বলি চলিত হয়, ততদিন জীবের তুঃখু ঘোচা শক্ত। ধর্মের নামে কেউ মারবে গোরু, কেউ শুয়োর, কেউ পাঠা— এ হলে জীবের রফা কোনোকালে অসম্ভব ? বন-বরাহ ঠেস দিয়ে বলে উঠলেন– “শুয়োর যা বললেন ঠিক বটে, কিন্তু কসাইখানার সঙ্গে আরো সব নানা জায়গায় নানা আবর্জনা মামুষেরা জীবকে হুঃখু দেবার জন্তে জড়ো করেছে, সেগুলো সম্বন্ধে কী বলেন ? শুয়োর ঘোৎ-ঘোৎ করে দুবার গলা খাকানি দিয়ে বরাহের কথার একটা কড়া জবাব দিলেন, এমন সময় সভাপতি ষাড় দুজনকে থামিয়ে বললেন— যাক, ঘরে কে কী খায় না খায় সে নিয়ে প্রকাশু সভায় আপনাদের উচিত হয় না ঝগড়া করা।’ এইবার শৃগাল উঠলেন– এতক্ষণ তিনি কে কী বলে মন দিয়ে \。S)