পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাতাপি রাক্ষস দণ্ডক অরণ্যের একদিকে অনেক মুনিঋষির আশ্রম ছিল। আর এক-দিকে অনেক ক্রোশ জুড়ে অনেকখানি একটা বাতাপি নেবুর বন ছিল । সেই বনে ছুটে অসুর ছিল— এক ভায়ের নাম ইল্বল আর এক ভায়ের নাম বাতাপি । ইন্সল একখানি পাতার কুটিরে তপস্বী সেজে বসে থাকত। বর্ষার শেষে সেই নেবুর বন সবুজ পাতায়, নেবুর ফুলে, বাতাপি নেবুতে ছেয়ে যেত। কত যে পাখি কত যে ভ্রমর কত যে মধুকর সেই বনে গান গাইত, ফুলে ফুলে উড়ে বসত, পাতার ফঁাকে চাক বাধত, তার আর ঠিকানা নাই । সেই সময় দক্ষিণ দিকে ঋষিদের আশ্রম থেকে দলে দলে ঋষিকুমার সেই বনে বাতাপি নেবু পাড়তে আসত। ৩র সারাদিন সেই নেবুবনের তলায় কচি ঘাসে শুয়ে পাখিদের গান শুনত, নেবু ফুলের মালা গাথত, কত খেলা খেলত, তার পর সন্ধ্যার সময় আঁচল ভরে রাশি রাশি নেবু, সুগন্ধ নেবু ফুল ঘরে নিয়ে যেত। যতদিন সেই মনে নেবু থাকত ততদিন তার প্রতিদিন আসত, নেবু পেড়ে খেত, নেবু ফুল তুলত। অস্থর ইম্বল তপস্বী সেজে বসে বসে সব দেখত, কিছু বলত না । তার পর যখন সব নেবু পাড়া হয়ে গেছে, বনে আর একটি গাছে নেবু নেই, গাছের পাখি উড়ে গেছে, ফুলের ভ্রমর চলে গে , শীতের হাওয়ায় সবুজ পাতা ঝরে গেছে, শিশিরে ঘাস ভিজে গেছে, সেই সময় ভণ্ড তপস্বী ইম্বলের কুটির হুয়ারে নায়াবী সেই বাতাপি নেবুর গাছ সবুজ সবুজ পাতায় থোলো থোলো ফুলে, বড়ো বড়ো নেবুতে ছেয়ে যেত। সেই গাছে কত পাখি গান গেয়ে উঠত, কত ভ্রমর গুন গুন করে তার চারিদিকে বেড়াত। সেই সময় সেই ভণ্ড তপস্বী ইম্বল গুটি-গুটি গিয়ে আদর করে সেই ঋষিকুমারদের হাত ধরে সেই মায়া বাতাপির তলায় যেত : পাকা-পাকা বড়ো \రిసిసి