উপস্থিত হলেন। ইল্বল আদর করে ঋষিদের আশ্রমে ডেকে নিলে— নেবুর বনে, সবুজ ঘাসে, কুশাসনে তাদের বসতে দিলে। তারপর বাতাপি রাক্ষস গাছের তলায় ভেড়া হয়ে বাধা ছিল তাকে কেটে যত্ন করে রোধে সেই ঋষিদের খেতে দিলে। নেবু বনে ঋষিকুমারের নেবু গাছ হয়েছিল, এদেরি তলায় বসে ঋষিরা বাতাপি অস্বরের মাংস খেতে লাগলেন। তারা পাতা নেড়ে, ডাল তুলিয়ে ঋষিদের সেই মাংস খেতে কত বাবণ করলে, কিন্তু ঋষিরা কিছুই বুঝতে পারলেন না ; আনন্দ মনে সেই মায়া মাংস খেতে লাগলেন । তার পর খাওয়া শেষ হলে ঋষিরা চলে যান, এমন সময় ইল্বল ডাকলে— আয় রে, বাতাপি বাহিরে আয় ! আমনি সেই রাক্ষস বাতাপি দয়ার সাগর সেই ঋষিদের পেট চিরে হাসতে হাসতে দেখা দিলে। তার পর দুই ভায়ে সেই হাজার হাজার ঋষির রক্তপান করে র্তাদের নেব বনে নেবু গাছ করে রেখে দিলে । সে বনে আর একটি মানুষ রইল না । সেই সুন্দর তপোবন কাট। বনে ভরে গেল। পোষা হরিণ বুনো হয়ে বনে চলে গেল ; ঋষিদের কুটিরে বনের জন্তুরা বাসা বাধলে । দুই অসুরে ঋষিদের তপোবন একেবারে শ্মশান করে দিলে। দিনে দুপুরে সে বনে আর মানুষ চলত না, যদি কেউ সে বনে যেত তবে সেই দুই রাক্ষস তাকে ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে তার রক্ত পান করে সেই নেবু বনে নেবু গাছ করে রেখে দিত। ক্রমে সেই নেবুর বন হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নেবুর গাছে একেবারে মহা অরণ্য হয়ে উঠল। নেবুর পাতায়, নেবুর র্কাটায় দিক্বিদিক ছেয়ে ফেললে, মানুষ চলবার পথ লইল না । তখন সেই দুই রাক্ষস বন থেকে হাতি ঘোড়া বাঘ ভালুক ধরে ধরে খেতে আরম্ভ করলে । শেষে শীতকাল গিয়ে আবার বর্ষাকাল এল ; নেবু বনের মাথা সবুজ পাতায় ভরে গেল। কচি ঘাসের উপর বড়ো বড়ো নেবু ডালাপালা নিয়ে লতিয়ে পড়ল ; নেবু ফুলের গন্ধ বন আমোদ করলে । গাছের পাখি, চাকের মধুপ, 8 o Y مهج سسسسهاج .انج"
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।