ছিল সব একত্র করে সে একটা মস্ত সিন্দুক ভর্তি করে ভোর নাহতে রাজ-বাড়িতে গিয়ে হাজির হল, সঙ্গে পচিশ গণ্ড চেলা, তারা তাল ঠুকে ডিগবাজি করে যেন সভা চমকে তুললে। রাজা সভা করে বসে আছেন, রানীর আড়াল থেকে উকি দিতে লেগেছেন। বাজি শুরু হয়, কিন্তু কারিগরের দেখা নেই। রাজা ব্যস্ত হয়ে বলেন— ‘গেল কোথায় ? বাজিকর হেসে বলে— ‘মহারাজ, সে তার একগণ্ড চেলা নিয়ে বোধহয় রাতারাতি চম্পট দিয়েছে। অনুমতি দেন তো বাজি কাকে বলে দেখাই ? বলেই বাজিকর একলাফে আকাশে উঠে হাওয়ার উপর তিনচারটে পাক খেয়ে ঝুপ করে একেবারে রাজার ঠিক সিংহাসনটা বঁচিয়ে মাটিতে সোজা এসে দাড়াল ! সভার চারি দিকে হাততালি আর সাধুবাদ শুরু হয়ে গেল। সেই সময় বাজিকর বিষ্ঠের সিন্দুক খুললে। অমনি চরকি বাজির মতো বন-বন করে, ছুচে বাজির মতো চড়-বড় করে বাজির ধুম লেগে গেল এমন যে কারুর চোখেমুখে দেখবার বলবার অবসর রইল না। রাজা মহা খুশি হয়ে গজমোতির মালা খুলে বাজিকরকে দেন– এমন সময় কারিগর এসে হাজির হল একলা । রাজা তাকে দেখে বললেন– “তুমি কোথায় ছিলে, এমন বাজিটা দেখতে পেলে না ! কারিগর একটু হেসে বললে –“এইবার তবে আমার পালা মহারাজ ? বাজিকর তাকে ধমকে বললে – ‘তোমার পালা কি রকম ? এতক্ষণ এসে পৌছতে পারো নি, বেলা শেষ হয়েছে, যাও ! রাজা বাজিকরকে থামিয়ে বললেন– “না, তা হয় না । সময় আছে, এরই মধ্যে ষা পারে ও দেখাক কারিগরি ? একদিকে কারিগর আর-এক দিকে বাজিকর । কারিগর একটা পাখির পালক বাজিকরের হাতে দিয়ে বললে— ‘এইটে ওড়াও ' 8 eb
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।