কনকলতা সুন্দর রাজার কালো মন্ত্রী । মন্ত্রীর সাত ছেলে— তারা কালোবান্দোর, আর এক মেয়ে— সে নিখুত সোন্দর। মন্ত্রী মেয়ের নাম দিলেন– কনকলতা । কালো ছেলেদের কারো নাম দিলেন— রামু, কারো সামু, কারো ধামু! যার যেমন মুখ তার তেমনি নাম— যেন সব কেলে হাড়ি আর কেলে হাত । মন্ত্রীর কোলে-কোলেই কনকলতা থাকে আর মানুষ হয়, ছেলেগুলো পড়ে থাকে কাদায় ধুলোয় পাকে । কনকলতা দিনে দিনে বাড়ে আর দাদারা তাকে ডাকে— আয় না, মাটিতে নেমে ধুলে খেলবি । কনকলতা নামতে যায় ; মন্ত্রী তাকে ধরে পালঙ্কে শুইয়ে দেয়, মশারি টেনে দেয়— রুপো-সোনার মিহি জাল! সেখান থেকে দেখা যায় বাইরের খেলাধুলো কিন্তু বেরিয়ে আসা যায় না কোনোমতেই । কনকলতা খাচার পাখির মতো মশারির মধ্যে বসে র্কাদে আর তার দাদারা ছাড়া-পাখির মতো মশারির বাইরে বসে ডাকে— আয় আয় খেলি আয় ! এমনি করে দিন যায়। কালো হলে কী হয় মন্ত্রীর ছেলে তো বটে ; সবার সুন্দর বউ এসে গেল। মেয়ে রইল আইবুড়ি গুড়িসুড়ি— সেই মশারির মধ্যে। বাড়ির ছোটো বউ সে আসে যায় কনকলতার ঘরে, বসে বসে গল্প করে— রাজপুত্তরের গল্প । কনকলতা বলে— তাকে দেখাতে পারো ? ছোটো বউ বলে পারি যদি না থাকে মশারি । কনকলতা কত ফন্দি করে— মশারি খুলতে । সোনারুপোর জাল ছেড়েও না খোলেও না । সেকরা একদিন ছোটে। বউয়ের গয়না গড়াতে এল— হাতে তার সোনাকাটা কঁাচিখানা। ছোটো বউ চুপিচুপি সেটা লুকিয়ে রাখলে । 8〉や
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।