কোণের ঘর তার পর চলতে চলতে সে পাখি ? পাখি আবার চলে নাকি ? কী বিস্ত্রী গল্প তোমার চলে না তো পাখি করে কী শুনি পাখি ওড়ে, পাখি বলে— পাখি— ওড়ে আর বলে সে যাব আজ দূরদেশে — ভারি তো তোমার গান, সুর নেই— খালি কথা— বিত্রী ! তোমারি বা গল্পের ছিরিটা কেমন— মাথা নেই কথা ! রাজকন্তের কথা শুনে রাজপুত্র ভারি রাগ ক’রে উঠে চলে যান ঘর ছেড়ে । রাজকন্যা সে গোসা-ঘরে গিয়ে খিল দিয়ে পড়ে থাকেন— তিন দিন, তিন রাত উপোস করেন, কিন্তু রাজপুত্র ফেরে না ! শেষে সখী এসে গোসা ভাঙায় কন্তের— খায় দায় কন্তে আর থেকে-থেকে র্কাদে, রাজপুত্রের কথা মনে করে। ও-ধারে রাজপুত্র ঘোড়ায় চড়ে উধাও— কে জানে কোন খানে মন তার কে টানে ! দিন গেল, রাত গেল, মাস গেল, বছর গেল ঘুরে, তার পর আরো কত দিন গেল, লাখ কথার পরে লক্ষহীরের দেশ থেকে ফকির রাজপুত্র ফিরে এলেন ! এসেই রাজকন্যাকে বিয়ে— লাখ টাকা আর অর্ধেক রাজত্ব যৌতুক নিয়ে! ছেলে হ’ল, নাতি হ’ল, পুতি হ’ল, সেইসঙ্গে সেই সেদিনের রাজপুত্র রাজকন্য। বুড়ো হয়ে সংসার করতে করতে হয়ে পড়ল— এক মস্ত দাড়িওয়ালা মহারাজা সে, আর পাকা চুলে সিচুর পর মহারানী তিনি । 8ఆ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।