রতা শেয়ালের কথা শেয়াল নিজের গড়ে গিয়ে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে আরাম করুন, এদিকে হিমে গাছতলায় পড়ে ভোম্বলদাস তপস্যা করতে থাকুন। ওদিকে হয়েছে কী, রাজার চর টিকটিকি, সে নতুন রাজ সিংহের কাছে শেয়ালের এ-সব খবর প্রকাশ করে দিয়েছে ; আব অমনি সিংহ হুহুংকার ছেড়েছেন। তখন ফাস্তুন মাস ; হিমালয়ের চুড়োয় বরফ জমাট বেঁধেছে কিন্তু সুন্দরবনে বসন্তকাল নতুন দেখা দিয়েছে— ফুলে-ফলে পাখিব গানে মধুর গন্ধে জলস্থল মাতিয়ে তুলে। সবুজ পাতাব চাঁদোয়ার তলায় দাড়িয়ে সিংহ-সিংহিনী ডাক ছাড়লেন ;– নিমন্ত্রণ চিঠি পেতে কারো আর দেরি হল না। জীব-জন্তু যে যেখানে ছিল সব কাজ ফেলে সভায় এসে হাজির হতে লাগল। বকা-ধাৰ্মিক সবআগে এসে লম্বা পায়ের ধুলো বাজা রানী ছাড়া আব সবার মাথায় বুলিয়ে দিয়ে, ঠোটে করে একটুখানি অঁাস-ক্তল ছিটিয়ে রাজারানীকে “জয় জীব— স্বস্তি স্বস্তি” বলে আশীৰ্বাদ করে বসলেন । হরবোলা পাখি রাজার বিদূষক, ময়না রানীব সেঙাতনী— ছজনে এসে ভাড়ামো জুড়ে দিলে। ভালুক-মন্ত্রীব ঘ-কোটাল. সেনাপতি গজপতি, খড়গ-সিং বরকন্দাজ, মহিষ-মহিষী, গোরু-গাধাছাগল ভেড়া ছোটে-বড়ো পাত্র-মিত্র সবাই একে একে এসে জুটল। সিংহ শেয়ালের কথা পাড়লেন– “এক যে ছিল শেয়াল তার বাপ একদিন আমার মামার বাড়ির সদর আর অন্দর দুই মহলের মাঝে একটা দেয়াল দেবার হুকুম পেয়ে বাজ মজুরের কাজ করতে এল। তার নাম ছিল রত বা রতন। শেয়াল পণ্ডিত তখন খুবই ছোটো, রতার বউ তাকে কোলে নি য চুন-সুর্কির ঝুড়ি বইতে এসেছিল। তখন তাদের অতি দৈন্য দশা। 8२१
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।