পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*রতা-মিস্ত্রি তো দেয়াল তুলে দিলে। গজগীর-ক'রে গাথা মোটা দেয়ালা মামার সদর-অন্দরকে দুই ভাগ করে মেঘ ছাড়িয়ে উঠল। মামা তো দেখে ভারি খুশি ! কিন্তু মামী সেই দেয়ালের মধ্যে অন্ধকারে পচে মরবার জোগাড় । এদিকে মামারও অন্দরে যাবার পথ বন্ধ । কি উপায় করা যায় ? মামা দেওয়াল ভাঙবার স্থ কুম দিলেন । কিন্তু পর্বতপ্রমাণ দেয়াল, তাকে ভেঙে ফেলা ভো সহজ নয়! হাতি এলেন দেয়াল ভাঙতে, কিন্তু দেয়াল যেমন তেমনিই রইল, লাভের মধ্যে হাতি দাত ভেঙে ফোগ লা হয়ে ফিরে এলেন । ওদিকে ক্ষিদের জ্বালায় অন্দরের মধ্যে মামী এমন চীৎকার শুরু করলেন যে রাজ্যের লোকের কানে তাল ধরে গেল । ছোটোছোটো জানোয়ার তো ভয়েই মারা যাবার জোগাড়। বাজ্যে হুলুস্কুল ! “সবাই মামার হুবুদ্ধির নিন্দে করতে লাগল। পশুদের মধ্যে সদর অন্দৰ— বাড়ির মধ্যে বাইরে— এ-সব কোনো কালে ছিল না ; হঠাৎ নতুন-রকম কেতা করতে এ কী বিপদই মামা ঘটালেন ! মামা রতা-শেয়ালকে ডেকে বললেন– “তিনদিনের মধ্যে এর উপায় করো, না হলে তোমার প্রাণদণ্ড করব!” কিন্তু হায়, রতা-শেয়াল দেয়াল দিতে-দিতেই বুড়ো হয়ে গেছে! দেয়াল তুলতেই সে পাকা, দেয়াল সরানো বিদ্যেতে সে একেবারেই মজবুত ছিল না। যে দেয়াল সে একবার তুলেছে, তাকে নামানো তার সাধ্য হ’ল না । মামী মামার দেয়ালের মধ্যেই মরে রইলেন !

  • অন্দরের মধ্যে মামীর চীৎকার বন্ধ হ’ল কিন্তু বাইরে থেকে মামা ভোম্বলদাস এমন হাক-ডাক কান্না-কাটি তম্বি-তম্বা শুরু করলেন যে রত্ন-শেয়াল ভয়েই মরে যায় বুঝি ! আর তাকে ধরে ছাল ছাড়িয়ে মাথা গুড়িয়ে একটু একটু করে মারবার সুবিধে হয় না দেখে বাবাকোটাল ভারি দুঃখিত হয়ে রাজাকে চুপ করবার জন্ত অনুরোধ করতে লাগল। সেই অবসরে রতার ছেলেটা বাপকে বুদ্ধি দিলে। কোটাল এসে রক্তাকে যখন ধরলে তখন দেখা গেল

8२४”