পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেয়ালদের, দোসর তারিখে সিংহ– বাঘ এমনি সব হোমরাচোমরাদের, তেসরা তারিখে গোরু গাধা মোষ এদের, চোঠো বাকি সব প্রজার ল্যাজ কাট চাই, নচেৎ প্রাণদণ্ড ।

  • সব জানোয়ার ধর্মঘট করে আমন রাজার বন ছেড়ে মানুষের রাজত্বে গিয়ে আলিপুরের চিড়িয়াখানায় থাকবার মতলব করেছে, এমন সময় শেয়ালপণ্ডিত নাপিত-ধূর্তর পাঠশালা থেকে নাকুর বদলে নরুন, নরুনের বদলে হাড়ি, হাড়ির বদলে ধুচুনি আর ধুচুনির বদলে বাড়ির গিল্পী কেমন করে আনতে হয়, সেই বুদ্ধি শিখে, বউ-সঙ্গে ধুচুনি মাথায় ঢোল পিটতে-পিটতে বনে এসে হাজির । সব জানোয়ার তার বুদ্ধির তারিফ করে ল্যাজ বাচাবার একটা উপায় করতে তাকে ধরে পড়ল ।

“পণ্ডিত শুনলেন প্রথমেই শেয়ালদেব ল্যাজ নামাবার হুকুম হয়েছে। তিনি খানিক গম্ভীর হয়ে থেকে বললেন— তোমরা সবাই নিশ্চিন্ত থাকে, এর উপায় আমি করব । পয়লা তারিখে সব শেয়াল আর জন্তু জানোয়াব যে যেখানে আছ ঠিক সময়ে রাজসভায় হাজির হবে ;– এদিক-ওদিক না হয় ! রাজা যখন বলবেন— ল্যাজ কাটে ! অমনি সবাই নিজের ল্যাজ দাতে চেপে ধরে সিংহাসনেব দিকে মুখ ফেরাবে, আর যা করতে হয়, আমি করব। কিন্তু কথা যেন ঠিক থাকে। আর পয়লা তারিখে ছেলে-বুড়ে সব শেয়ালের এক “রা” হওয়া চাই । না হলে সব মাটি ; “সবাইকে বুদ্ধি দিয়ে শেয়ালপণ্ডিত বউ নিয়ে ঘরে যান, এদিকে ভোম্বলদাস, বাঘ-ভালুক এর আনন্দ করছে ; গাধ। আর গোরু এরা ঘাড় নেড়ে বলাবলি করতে লাগল— ভাই শেয়াল-পণ্ডিতের যুক্তি তো ভালো বোধ হয় না। দাতে তো লেজ কামড়ে ধরলেম, সেই সময় রাজা যদি এক হুংকার ছাড়েন, তবে দাত কপাটি তো লেগে বসে আছে! তখন যদি ল্যাজের গোড়ায় দাত একটু চেপে বসে তবে ল্যাজ খসে না পড়ে যায় না! আমােদর তো ভাই ভালে বোধ হচ্ছে না । শেষে ঠকতে না হয় । ভোম্বলদাস দুজনকে ধমকে দিয়ে 8\రి