সিংহরাজের রাজ্যাভিষেক সিংহরাজ বললেন– “কোনদিন বা শেয়াল পণ্ডিত ভোম্বলদাস মামাকে নিয়ে আমারই সিংহাসন আবার কেড়ে নিতে আসে।” ভালুক ঘাড় নেড়ে বললেন– “হতে পারে।” বাঘ ল্যাজ আপ সে বললে— “এখনি এর একটা বিহিত করা চাই ।” গজপতি বললেন– “এমন কেউ নেই ঐ পাজি শেয়ালট। যাকে অপমান না করেছে।” মোষ চোখ রাঙিয়ে বললে— “ওটা বিষম ঠক !” ছোটো ছোটো জানোয়ার, তারা বলে উঠল— “দোহাই মহারাজ, ওর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন। কাচাবাচ্চা নিয়ে ওর জ্বালায় ঘর করা দায় হয়েছে।” সিংহ সবাইকে অভয় দিয়ে বললেন– “ভয় নেই! ওকে আমি রীতিমতো শাস্তি দেব। আসছে মাসে মামীর শ্রাদ্ধ, সেইদিনই ওকে এখানে আনাচ্ছি ; তার পর বিচাব করে দেখা যাবে কী কবা যায়। এখন তোমাদের ওর নামে যদি কিছু নালিশ থাকে প্রকাশ করে বলতে পারো ; সজারু সব লিখে নেবেন। আমি তো শেয়াল পণ্ডিতের মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে দেশছাড়া করব কিন্তু তোমাদেরও আমার জন্তে কিছু তো করা চাই। মামা তো কৈলাসে গেলেই শীতে মরবেন, জানা কথা, কেবল শেয়াল পণ্ডিতই তাকে বুদ্ধি দিয়ে কৈলাস যেতে দিচ্ছে না। এখন মামা শুনছি তপস্যা করে নতুন শরীর পেয়েছেন। শেয়াল র্তাকে রোজ একটা করে পাঠার রক্ত খাইয়ে বেশ মোটাসোটা করে আবার যেদিন রাজ্যে ফিরিয়ে আনবে, সেদিন আমাকে তো সিংহাসন ছেড়ে নামতেই হবে, তোমাদেরও যে কারু ল্যাজ সে রাখবে তা বোধ হয় না । তার 853
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।