মারামারি এমন-কি রাজবিদ্রোহ পর্যন্ত ঘটে। পক্ষীসমাজে তো একদিন এরূপটা চলা অসম্ভব। কতকগুলো পাখি খেয়ে খেয়ে মোটাবে আর फिाँ३] আরামে ঘরকন্ন করবে, আর কতকগুলো, তারা রাজ্যের ওঁচ সামগ্রী, তাও আবার আধপেট খেয়ে দীনহীন অবস্থায় দিন গুজরান করবে এ তো হতে পাবে না—ফলে দাড়াল, বাবুইয়ের দলে গোল বাধল । চড়াইরা মরিয়া হয়ে বললে— ‘আমাদের সামাজিক উন্নতির পথ যেমন করে পারি করে নেব, এতে যদি ঠোটের চোচ চালাতে হয় তাও আমরা চালাতে প্রস্তুত ।' যদিও আমি নিজে বাবুই বটে তবু সত্যি বলতে হবে, চড়াইদের প্রস্তাবটা ভালোই। চড়াইরা দল বেঁধে মাসচটকদের বাড়ির গলিতে এক চড়াইকে দলপতি করে এক বিরাট সভা ডেকে বসল। এই দলপতির স্বগীয় প্রপিতামহের অতিবৃদ্ধপ্রপিতামহ তিতুমিরের কেল্লা দখলের সময় ইংরেজদের বিশেষ সাহায্য কয়ে চতুরজী খেতাব পেয়েছিলেন । এই সভার বিবরণটা দিই শোনো— সকালবেল শহরের আলিতে-গলিতে যত চড়াই সবাই দলে দলে ভাগ হয়ে টেলিগ্রাফ আপিস, হাইকোর্ট, গ্র্যণ্ড হোটেল এমনি সব বড়ে বড়ো জায়গা দখল করে বসল। প্রধান দল গিয় চারিদিকে যত বড়ো গাছ ছোটো গাছ দখল কবে ফেললে । শহরেব লোক তো এই চড়াই পাখির বাক দেখে অবাক! বাবুইগুলো নে 'ই অস্থির, বুঝিবা এবার অন্ন যায়। এই ভেবেই সব বাবুই একত্র - য় যা-হয় একটা মিটমাটের চেষ্টায় আমাকে ডেকে দূত কবে চড়াইদের সভায় পাঠালেন । আমার জীবনের সেই দিনটা আমার পক্ষে অতি গৌরবের দিন। সব চড়াই আর বাবুই যখন আমার মুখ চেয়ে বসে, সেই সময় আমি আপনাকে বড়ো ভাগ্যবান বলে ঠাওরালেম। যা হোক, দুই দলে মিলে যাতে একটা উপায় হয় তার ব্যবস্থার ভার আমাকে দিলেন । বড়ো বড়ে চড়াইদের আর বাবুইদের মধ্যস্ত হয়ে আমায় কাজ করতে হল। কী করে সব দিক রক্ষে হয়, তাই নিয়ে ছপক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন উঠতে লাগল বঁাচা যায় কী করে, খাওয়া যায় কী করে, শহরের সব 88ぬ ۹ سسته ای
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।