বড়ে বড়োজায়গাগুলো কি বাবুইদের একচেটে থাকবে, না জাতিভেদ উঠিয়ে দিয়ে চড়াই আর তালচড়াই দুজনের মধ্যে জল চলাচল হবে, আর তাই যদি হয় তবে কী নিয়মে ভবিষ্যতের সমাজ-বন্ধনটা করা সুবিধে— এমনি সব বড়ো-বড়ো প্রশ্ন আমাকে মেটাতে অগ্রসর হতে হল। শেষে প্রশ্ন উঠল— মুড়ি মিছরির এক দর হোক। এতে সব বাবুই আপত্তি করলেন– “আমরা শহরে থাকি— এ হলে সব চিনি বাইরে যাবে। একে তো শহরের আবহাওয়া ফাকার মতো ভালো নয়, তার উপর মিছরি না পেলে আমরা কী সুখে বাচি ? চড়াই তারা পাড়াগায়ে থাকেন— কিড়িং ফড়িং যথেষ্ট, সেখানে মুদির দোকানের মুড়ি মুড়কিও প্রচুর, তার উপর ফাকা হাওয়া যথেষ্ট– এ আব্দার করা তাদের অন্যায়, এতে আমরা কিছুতেই রাজি হব না ! অমনি চড়াইয়ের দল ভয়ানক কিচিমিচি আরম্ভ করলেন, তুই দলে বকাবকি শুরু হল। মানুষরা হলে সেদিন একটা বিদ্রোহ আর রক্তপাত না হয়ে যেত না, কিন্তু পক্ষীসমাজে গোলমাল চেঁচামেচি থেকেই ভালে৷ ফলের উৎপত্তি ধরা যায়। হলও তাই, দুই দলে শেষে একত্র হয়ে আমাকে নানা জন্তু-সমাজের নিয়ম-কানুন আচার-ব্যবহারগুলো বেশ করে খুটিয়ে দেখে আসতে পাঠালেন। আমি সেই দিনই কার্যের ভার নিয়ে বাসা ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেম। সমাজের কল্যাণের জন্যে কী না ত্যাগ করা যায় ? তা ছাড়া কাজটা খুব সম্মানের কাজ, আর রোজগারও কিছু সেইসঙ্গে ছিল । 暮 醬 嶄 এখন দেশের জনসাধারণের সভায় আমি আমার সমাজ সম্বন্ধে রিপোর্ট ক্রমশ দাখিল করব— প্রতি মাসে 'বেণু কাগজে ; সম্পাদক তাহা প্রকাশ করিতে রাজি হইয়াছেন, নিজ খরচায় । ( পি পড়েদের ক্ষুদে সমাজের সঠিক ইতিহাস ) এখন যেমন কলের জাহাজ উড়ো জাহাজ হয়েছে, তখন এসব ছিল না— সদাগরের জাহাজ আর বোম্বেটে জাহাজই চলত বড়ো বড়ো 86 e
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।