আটকা পড়ে পালাতে পারে না, চিনির সমূত্রে হাবুডুবু খেয়ে মারা যায় । এই দেবতার আর-এক নাম হচ্ছে "বাত-আশা'। ঠিক বলতে পারিনে এটার কী অর্থ, শব্দকল্পদ্রুমে লিখেছে যে ‘বাত অর্থে মুখের কথা এবং 'আশা' কি, না আশা । এই থেকে এ কথার উৎপত্তি । এই সব ব্যাপার দেখে বেড়াচ্ছি, এমন সময় দেখি কতকগুলি পি পড়ে পালক নেড়ে যেন উড়ে উড়ে চলেছে । একটা পাহারাওয়ালা পিপড়েকে শুধোলেম— ‘এরা সব দেখি কাজকর্ম করছে, আর ওরা জমকালো চারখানা পালকের ধড়াচুড়ো এটে নিষ্কর্মার মতে রয়েছে কেন ? পাহারাওয়ালা বললে— ‘এরা হচ্ছেন দেশের আমীর ওমর, নেতা অধিনেতা, অধিরাজ,– রাজা মহারাজাও বললে চলে ; খুব পুরোণে বংশের ঘুর্ণ পিপড়ে এরা। আমি আবার শুধোলেম— ‘ঘুণ পিপড়ে কাকে বলে ? পাহারাওয়ালা বললে – ‘এরা হলেন দেশের মাথা, আজন্ম এরা পালকের গদি আর পালকের সাজসজ্জা করে থাকেন। সুয্যির আলো না দেখা দিলে ঘর থেকে বেরোন না, পাছে ভিজে আর চক্মক্ না করে। আঃ! এরা বড়ো আরামেই থাকেন, এক দুঃখ– এদের অকাজে দিনগুলো কাটাতে কাটাতে এমন অরুচি হয় যে ভেবেই পান না কৗ নিয়ে বেঁচে থাকেন। কেবলই তখন শুনি এরা-বলেন— দিন যে যায় না কী করি ? এই-সব পালকের গদিতে গদিয়ান ওড়ম্বা পিপড়ের বিষয়ে একটু জানবার ইচ্ছে হল আমার। কেননা দেখলেম এরা যেন একটু সৌধীন গোছের এবং বাবু কছমের, কিন্তু খবর নিয়ে জানলেম এদের ঘরে এরা কিছুই জমা করে না ; দোকান-ঘরের উপরে একটু বাসাটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে এরা থাকে কাচ্চাবাচ্চাদের শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে। কোনো কিছুতে এদের মন নেই, কেবল কতগুলো ওড়ম্বার দলে ঘুরে ঘুরে মবুে এরা। এদের বুদ্ধি না-মোটা না-স্বল্প, কেমন একটা বেঢ়ক গোছের । নিষ্কৰ্মার ধাড়ি বলে এদের সবাই জানে। আমাদের কথা হচ্ছে, এমন সময় এক পালক-ওঠা পিপড়ে 8& 8
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।