পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাপা কাগজে ইস্তক নাগাত মৌমাছি সম্বন্ধে লেখা হয়েছে সংগ্রহ করে বেরিয়েছিলেম মৌচাকপুরের তথ্য সংগ্রহ করে আনতে, সরেজমিনে original research করাই ইচ্ছে ছিল, কিন্তু বিধাতার চক্রে উইপোকার উৎপাতে তালপাতার পুথি ও ছাপা বই সমস্তই একরাত্রে অদৃশ্য হয়ে গেল কাজেই স্বচক্ষে দেখে যা পারি তাই নোট করে পাঠালেম— এ ছাড়া আর একটা দুর্ঘটনা ঘটল তাও বলি– মৌচাকপুরে খবরের কাগজ নেই, ভৃঙ্গদূত আছে। তারাই মুখে দেশবিদেশের খবর নিয়ে আসে । মধু মোদকের দোকানঘরই হল এখানের পোস্ট অফিস, সেখানে মিষ্টি মিষ্টি কথায় গুন-গুন করে শুনিয়ে চলে খবর ভৃঙ্গদূতেরা একে একে। দেশের খবর অনেকদিন পাইনি কাজেই মৌচাকপুরে পৌঁছেই ছুটলেম মধু মোদকের আড্ডায় । সেখানে চায়ের বদলে মধু আর মোমাই রুটি খেয়ে বসে গেলেম দেশের খবর দিতে । আহমা’স দি জলে ভেসেছে, দামোদরের বাধ ভাঙে-ভাঙে, চৌরঙ্গীর ব্রজনাথকে কলকাতার পুলিশ রাতারাতি সিংহাসনচু্যত করেছে, জেন্ত-সভার অনুকরণে কলকাতায় এক দল একট। সভা খুলে বসে পুরোনে ঘি জমি থেকে উদ্ধারের চেষ্টায় অজস্র অর্থ র্যয় করেছে —শোনা যাচ্ছে সেই ঘিয়ে তারা নতুন রকম মৃতসঞ্জীবনী ওষুধ বানিয়ে মানুষকে অমর করবে এই মতলব ! কথাটা শুনে চিন্তা উপস্থিত হল, ঠিক সেই সময় ভ্রমর দূত এসে খবর দিলে তালবনীতে বিষম কাণ্ড হয়ে গেছে, একটা মানুষ তালগাছে চড়ে বাবুই পাখির যে-কটা বাসা এবং সংসার ছিল একরাত্রে কাচ্চাবাচ্চ-সমেত লুট করে পালিয়েছে, চিহ্নমাত্র নেই বাবুই-পাখির । আমি এই খবর শুনে তখনই বিশেষ সংবাদদাতা একজনকে পাঠালেম জেন্ত-সভায়, পুনরায় সংসার পাতবার জন্য অর্থসাহায্য চেয়ে । কিন্তু জেস্ত-সভা বললেন আমাকে রিলিফ কমিটিতে আবেদন করতে, রিলিফ কমিটি বললেন কংগ্রেস কমিটিতে প্রস্তাব আনতে । এমনি ঘোরাঘুরিতে হয়রান হয়ে আমি কর্ম পরিত্যাগ করে নতুন 않(이