পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাকরির সন্ধানে দেশে এসে উপস্থিত হয়েছি এবং জেস্ত-সভার সঙ্গে সব সম্পর্ক তুলে দিয়েছি ও কবিতা লিখতে অগ্রসর হয়েছি। কথিত সম্পাদকের কাছে প্রতিজ্ঞা আমি পালন করব বলে ইচ্ছা ছিল কিন্তু মৌমাছি সম্বন্ধে মানুষ এত লিখেছে যে তার তর্জমা দিয়ে কোনো লাভ দেখি ন সুতরাং এবার থেকে original কবিতাই দেব। লেখা ও স্বর সবই original এবং বিনা অনুমতিতে পুনমুদ্রণ হইবে না জানিবেন । পুষ্পবনের মধ্যে মক্ষীরানী মোমতাজ মহল বানিয়ে বাস করেন, রানী মন্ত্রী মোমের পুতুলী ; ইনি অতি বুদ্ধিমতী ; মৌচাকে মধু জমা করতে এর মতো দুটি নেই। তা ছাড বাদলা দিনের আগেই ইনি সাবধান হতে জানেন, আর বিদেশেও ইনি কতক-কতক মধু জমা করেছেন । এক নবাবপুত্তর মধুপুর থেকে একটি মধুমুখী কন্যাকে বিয়ে করতে চান, তিনি এসে মধু মোদকের দোকানে খবর চাইলেন, বিয়ের যুগ্য কোনো রাজকন্যে এখানে পাবার সম্ভাবনা আছে কি না । মুদি তাকে সেলাম ঠুকে বললে— ‘কুমার বাহাদুর, আমাদের রানীর এক মেয়ের বিয়ের উদ্যুগ হচ্ছে যে— যান, যদি ঘটকালি করে সম্বন্ধ করতে চান তো এইবেলা । আপনাকে দেখতে শুনতে ভালে, গায়ের জামাগুলো নতুন হলেই বেশ বর-বর দেখাবে।’ এদের রাজকন্তের বিয়ের ধূমধামটাও আমার দেখার সুবিধে হয়ে গেল। কালো আর হলদে কাপড় পরে আটজন বান্তিকর মক্ষীরানী পুরানো বাড়ি মোমতাজপুর ছেড়ে বার হল। এদের পিছনে আর পঞ্চাশজন গড়ের বাপ্তি-বাজিয়ে ; এমন তাদের সাজ ঝকঝকে, মনে হল যেন হিরে মানিক জ্যাস্ত হয়ে বেরিয়েছে। তারপর এল মাথাটার হুল আর শূল উচিয়ে বরকন্দাজ মাছি তার প্রায় ছশো হবে— কাতারে কাতারে বার হল – আগে আগে তাদের পর্দার বুকে মোমৃতাজপুরের একটা মোমের তক্‌মা বুলিয়ে। তারপর সব রানীর ঝাড়ুদার, আগে আগে ঝাটার কাঠির ঝাড় উচু করে তাদের জমাদার। তার পর এল খড়কেধারী, আর বাসনমাজুলী সঙ্গে আট ক্ষুদি দাসী, 8Qbr