কেউ মধুর বাটি কেউ খড়কে কেউ পান কেউ চিনি এমনি সব নানা সওগাত বয়ে ; তারপর এলেন রানীর প্রিয় দাসী তসরের কাপড় মমস করে, সঙ্গে বারোজন ছোটোবড়ো সেবাদাসী ; সবশেষে বার হলেন কন্তে জরি কিংখাপের ওড়নায় সেজে – এই ওড়না কেবল শোভার জন্যে, ওড়বার কাজে কোনোদিন লাগবে না। কন্যার পাশে দেখলেম তার মা মক্ষীরানী, মোটাসোটা, আগাগোড়া মখমলে আর হিরের টুকরোয় সাজানো, রানীর পিছনে পিছনে একদল মধুকর বিয়ে উপলক্ষে বাধা গান গাইতে গাইতে চলেছে ঐকতান বাছির সঙ্গে। তার পরেই বারোজন বুড়ো মাছি গুন-গুন করে মন্তর আওড়াতে আওড়াতে বেরিয়ে এল। এরাই হল আচাৰ্ঘি, পুরিৎ, ঘটক, এমনি সব । রানী এসে বাইরে দাড়াতেই দশ-বারো হাজার মাছি তাকে ঘিরে দাঁড়াল, রানী তাদের একটা বক্তৃতা শোনালেন – ‘প্রজাগণ, তোমাদের যখনি উড়তে দেখি তখনই আমার অত্যন্ত আনন্দ হয় । কেননা, তানদের ওড়া মানে এই মেমতাজপুরে দেশবিদেশের মধু ক্রমে জড়ো হওয়া ও রাজসংসারেব সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাওয়া । প্রজাপতি ও ওড়ে বটে – এই সময় এক বুড়ো আচার্ষি, বিয়ে উপলক্ষে প্রজাপতির সম্বন্ধে কটাক্ষ করলে রাজোচিত কাজ হবে ন!— কানে-কানে বলে দিলে রানী সামলে নিয়ে বললেন— “প্রজাপতিকে ধন্যবাদ দিই যে তিনি এই পৃথিবীকে মধুভরা ফুল দিয়ে ছেয়ে রেখেছেন। আমার বিশ্বাস মেমতাজপুরের প্রজার অপব্যয় না করে সেই মধু এই রাজদরবারের কল্যাণসাধনের জন্যই জমা করবেন আর সেই কল্যাণের ফলে প্রজাপতির আশীৰ্বাদ লাভ করে মুখে থাকবেন । তোমরারানীর কল্যাণ করতে কোনোদিন ভুলো না— কিসে তার আয় বৃদ্ধি, মান বৃদ্ধি, ও সুখসমৃদ্ধি বাড়ে তারই চিন্তা যেন সর্বদা তোমাদের ব্যস্ত রাখে আর এ কথাও তোমাদের ভুললে চলবে না যে মোমৃতাজপুরের রাজত্বটা তোমাদের আচল রাজভক্তির উপরেই অটল থাকতে পারে। ‘ধর্ম এবং রানী এই দুয়ের জন্তে প্রাণ না দিলে তোমাদের রাজ্য 8(tఫి
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।