ঘটবার সম্ভাবনা নেই। বরং উলটে তারা আপনাকে মাথায় রাখতেও প্রস্তুত। সুতরাং কিছুমাত্র সংকোচ না করে আজই সেখানে রওনা হোন। এই বলে উকুন সরে উড়ল । সংসারটা ছারখারে যাওয়াতে আমি যতটা না মর্মাহত হয়েছিলেম, জেস্ত-সভা নতুন সংসার পাতবার সাহায্য না করতে তার চতুগুণ বেদনা বাজল আমাকে । কাজেই আমি সব ছেড়ে মাছিক সা হত্যজগতে কিছু দান করে যাবার জন্যে কৃতসংকল্প হয়ে বেণু-বনে বাসা নিয়েছি । মৌচাকপুরে রাজকন্যার বিয়েতে যেদিন তুবড়ি ফুলঝুরি পোড়ে, সেদিন আমি একটা গান বেঁধে বরকন্যাকে আশীৰ্বাদ করেছিলেম। সুর ও কথা দুইই নিজের কল্পিত। কোনো বাবুই এর পূর্বে এটা রচনা করেন নি। আপনার না বিশ্বাস করতে পারেন, মৌচাকপুরে একটা লতাকুঞ্জে বসে ছোটে একটা ফুলঝুরির আলো জেলে, সেটা নেভবার পুর্বেই রচনা সাঙ্গ করেছিলেম। এবং মৌচাকপুরের তরুণ সাহিত্যিকের দলে এই রচনা বেশ একটু ঈর্ষা জাগিয়ে দিয়েছিল। এবং ভিতরে ভিতরে ‘বোলতাই’ কাগজে গোপনে সমালোচনা ছাপিয়ে আমাকে অপদস্থ করবারও চেষ্টায় ত্রুটি করেনি। কিন্তু আমাদের পূর্বপরিচিত মধু মোদক খুশি হয়ে এক ভাড় মধু অমনি পাঠিয়ে দিয়েছে, কলাপাতার মোড়কে নিজের একটি কবিতার সঙ্গে । কবিতাটি দেখি আমা থেকেই চুরি। কাজেই এটা আমার নামেই ছাপালেম । মুর মে মল্লার বাজির ধূমেধামে বাদর ঝরে না । মরমর চাতকে রাখে পিয়াসী বারহ মাস-ই । 8ෂථ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।