আষাঢ়ে গল্প বঁশের মই, তার ঘাড়ে পা রেখে সবাই উঠে যায় উপরে খুব উচুতে— কেউ উঠে যায় মই বেয়ে স্বর্গে, কেউ যায় নেমে মই বেয়ে পাতালে— এই চলেছিল সত্য ত্রেতা দ্বাপর তিন যুগ ধরে। অরূপ-মুন্দরী কস্তা— তাকে চুরি করে নিতে দৈত্যপুরী থেকে রাজপুত্র চলে গেল মই বেয়ে গগনস্পর্শী কেল্লার বুরুজ ঘরে। চিলে-ঘরের ছাতের কানাচে পাখির বাসা, পাঠশালার ছেলে সে-ও সেখানে উঠে গেল মই বেয়ে অধরা পাখির বাচ্চ ধরতে ! মেঘছোওয়া গাছের ফল-ফুল পাড়তে উঠে গেল— বাঁশের মই বেয়ে মেয়েরা ছেলেরা সবাই! চিলও হার মানে যাকে ডিঙিয়ে যেতে এমন তুর্জয় পাহাড়ের পাচিল তাকেও টপকে গেল বাচ্ছা সিন্দবাদ আর চোর চক্রবর্তীর দল— মই বেয়ে! মই বেচারা সে আড় হয়ে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাড়িয়েই থাকল— উঠতে পেলে না কোনো দিন আপনাকে ছাড়িয়ে একটুখানিও উপরে ! যে মাটিতে মই দাড়িয়ে থাকে সত্য ত্রেতা দ্বাপর— সেই মাটি কলির আরম্ভে হঠাৎ একটা ভূমিকম্পে তলা থেকে একটা বিষম ধাক্কা দিয়ে মইখানাকে, আধ আঙুল উপরে তুলে দিয়ে মজা করলে ; মই সেই সময় চকিতের মতো নিজের মাথার উপরে নাদেখা যা-কিছু তাই দেখে নিয়ে কাত হয়ে পড়ল মাটিতে— উচু থেকে নীচে পড়ার ধাক্কায় চুরমার হয়ে গেল সে সেদিন ঘন বর্ষার শেষ রাতে! তিন কেলে বুড়ো পাকা বাশের মই জলে না ভেজে সেইজন্তে বেঙ রাজা দিলেন, ওকে ছাতা দিয়ে মুড়ে রাখতে । সেদিন থেকে আপনার কাজ বন্ধ করে পড়ে রইল মই আকাশের দিকে চেয়ে ! পাখি উড়ে চলে উপর থেকে উপরে। ছাগলছানা লাফিয়ে ওঠে পাহাড়ের চুড়োয়। আটাকাটি দিয়ে ধরে পাখি ছেলেরা, 8&No
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।