পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंकूख़ल আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস থেকে ‘শকুন্তলা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯৫ খ্রীস্টাব্দে । প্রথম এই সংস্করণ ছিল লেখক কর্তৃক চিত্রাঙ্কিত। ঠাকুর-পরিবার আয়োজিত ‘বাল্যগ্রন্থাবলী’ গ্রন্থমালার এটি প্রথম বই। গ্রন্থরচনার ইতিহাস প্রসঙ্গে ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বই থেকে নিম্নোদ্ভূত স্মৃতিচারণটুকু উল্লেখযোগ্য : একদিন আমায় উনি [ রবীন্দ্রনাথ ] বললেন, ‘তুমি লেখো-না, যেমন করে তুমি মুখে গল্প কর, তেমনি করেই লেখো।' আমি ভাবলুম বাপরে, লেখা—সে আমার দ্বারা কস্মিনকালেও হবে না । উনি বললেন, ‘তুমি লেখোই-না ; ভাষায় কিছু দোষ হয় আমিই তো আছি।’ সেই কথাতেই মনে জোর পেলুম। একদিন সাহস করে বসে গেলুৰ লিখতে। লিখলুম এককেঁকে একদম শকুন্তলা বইখানা। লিখে নিয়ে গেলুষ রবিকাকার কাছে, পড়লেন আগাগোড়া বইখানা, ভালো করেই পড়লেন । শুধু একটি কথা পৰলের জল ওই একটিমাত্র কথা লিখেছিলেম সংস্কৃতে । কথাটা কাটতে গিয়ে না থাক’ বলে রেখে দিলেন। আমি ভাবলুম, যা । সেই প্রথম জানলুম, আমার বাংলা বই লেখার ক্ষমতা আছে। এত যে অজ্ঞতার ভিতরে ছিলুম, তা থেকে বাইরে বেরিয়ে এলুম। মনে বড় ফুর্তি হল ; নিজের উপর মস্ত বিশ্বাস এল। তারপর পটাপট করে লিখে যেতে লাগলুম—ক্ষীরের পুতুল, রাজকাহিনী ইত্যাদি। সেই ষে উনি সেদিন বলেছিলেন 'ভয় কি আমিই তো আছি’ সেই জোরেই আমার গল্প লেখার দিকটা খুলে গেল। Sakountala (Racontie a la Jeunesse) Suivi de Nulaka RtCW "নালক’ ও ‘শকুন্তলা’র মিলিত একটি ফরাসী অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ খ্রীস্টাব্দে। অম্বুবাদ করেন আঁদ্রে কাপেল, তপনমোহন চট্টোপাধ্যায় এবং অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী। 'শকুন্তলা’র গুজরাট একটি অম্বুবাদও ছাপা হয় ১৯২৮ খ্রীস্টাব্দে । 8 49