লোকের চোখের আড়ালে নির্জন মন্দিরে জন্ম হল বলে, স্বভাগ দুজনের নাম দিলেন, গায়েব, গায়েব । স্বভাগ গায়েব আর গায়েবীকে বুকে নিয়ে মন্দিরের বাইরে এলেন ; তখন পূবে সূর্যদেব উদয় হচ্ছিলেন, পশ্চিমে চাদ অস্ত যাচ্ছিলেন। সুভাগা দেখলেন, গায়েবেব মুখে সূর্যেব আলো ক্রমেই ফুটে উঠতে লাগল, আর গায়েবীর কালো চুলে চাদের জ্যোৎস্না ধীবে-ধীবে নিভে গেল। তিনি মনে-মনে বুঝলেন, গায়েবীকে এই পৃথিবীতে বেশিদিন ধরে রাখা যাবে না। গায়েব ক্রমশ যখন বড়ো হয়ে পাঠশালায় যেতে আবস্তু কবলেন, সেই সময় গায়েৰী মায়েব কাছে বসে মন্দিবের কাজকর্ম শিখতে লাগলেন। গায়েব যেমন ভুবন্ত দুর্দান্ত, গায়েবী তেমনি শিষ্ট শান্ত । গায়েবীর সঙ্গে কত ছোটে-ছোটে মেয়ে সেধে-সেধে খেলা কবতে আসত, কিন্তু গায়েবেব উৎপাতে পাঠশালাব সকল ছেলে অস্থিব হয়ে উঠেছিল। শেষে তার সকলে মিলে একদিন পাব মর্শ করলে —গায়েব আমাদের চেয়ে লেখায়, পড়ায়, গায়েব জোলে সকল বিষয়ে বড়ে ; এস আমবা সকলে মিলে গায়েবকে বাজ কবি, তাব আমরা তার প্রজা হই ; তাহলে গায়েব আর আমাদেব উপব অত্যাচার করতে পারবে না। এই বলে সকলে মিলে গায়েবকে রাজা বলে কাধে করে নৃত্য আরম্ভ করলে। গায়েব হাসিখুশিতে সেই সকল ছোটো-ছোটো ছেলের কাধে বসে আছেন, এমন সময়ে একটি খুব ছোটো ছেলে বলে উঠল— ‘আমি রাজার পূজাৰী । মন্ত্র পড়ে গায়েবকে রাজটীকা দেব । তখন সেই ছেলেব পাল গায়েবকে একটা মাটির ঢিবির উপর বসিয়ে দিলে। গায়েব সত্যি রাজার মতো সেই মাটির সিংহাসনে বসে আছেন, এমন সময়, সেই ছোটো ছেলেটি তাল কপালে তিলক টেনে দিয়ে বললে— ‘গায়েব, তোমার নাম জানি, বল তোমার মায়ের নাম কী ? বাপের নাম কী ? গায়েব বললেন—“আমার নাম গায়েব, আমার বোনের নাম গায়েবী— মায়ের নাম সুভাগ । আমার বাপের নাম (2b"
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।