\ —কী ? গায়েব জানেন না যে তিনি সূর্যদেবের বরপুত্র। ਜੋ বলতে পারলেন না, লজ্জায় অধোবদন হলেন, চারিদিকে ছেলের পাল হো-হো করে হাততালি দিতে লাগল, লজ্জায় গায়েবের মুখ লাল হয়ে উঠল । তখন এক পদাঘাতে সেই মাটিব সিংহাসন চূর্ণ করে চড়-চাপড়ে ছোটো ছেলেদের ফোলাগাল বেশি কবে ফুলিয়ে, রাগে কাপতে-কাপতে গায়েব একেলণরে দেবমন্দিরে উপস্থিত হলেন । সুভাগা গায়েবীর হাতে পিতলের একটি ছোটো প্রদীপ দিয়ে কেমন করে সূর্যদেবের তাবতি করতে হয় শিখিয়ে দিচ্ছিলেন ; এমন সময় ঝড়ের মতো গায়েব এসে পিতলের প্রদীপট কেড়ে নিয়ে টান মেরে ফেলে দিলেন । নিবেট পিতলের প্রদীপ পাথরের দেয়ালে লেগে ঝনঝন শব্দে চুবমার হয়ে গেল, সেইসঙ্গে সূর্যদেবের মূর্তি-আঁক একখানা কালে পাথর সেই দেয়াল থেকে খসে পড়ল । সুভাগ বললেন—“আবে উন্মাদ, কী কললি ? সূর্যদেবের মঙ্গল-আরতি ছারখার করে দেবতার অপমান করলি ? গায়েব বললেন—“দেবতা ও বুঝিনে, স্বর্য ও বঝিনে ; বল, আমি কার ছেলে ? না হলে তাজ তোমাল সূর্যমূর্তি কুণ্ডের জলে ডুবিয়ে দেব ? যদিও প্রকাগু সেই সূর্যমৃতি ভাম এলেও তুলতে পারতেন না তবু গায়েবেল বঁীবদপ দেখে সুভাগীর মনে হল —কী জানি কী করে । তিনি তাড়াতাড়ি গায়েবের দুটি হাত ধরে বললেন—"বাছা শাস্ত হ, স্থির হ, তার দেবের অপমান করিসনে ; পিতার নামে কী কাজ ? আমি তার মা আছি, গায়েবী তোর বোন, আর তোর কিসের অভাব ? গায়েব তখন কাদতে-কদতে বললেন—তবে কি মা, আমি নীচ, জঘন্য, অপবিত্র পথের ধুলো, • ভিখারীর অধম ? কথাগুলো তীরের মতো সুভাগার বুকে বাজল, তিনি দুই হাতে মুখ ঢেকে বসে পড়লেন ; মনে মনে ভাবলেন— হায় ভগবান, কী করলে ? এ দুরন্ত ছেলেকে কেমন করে বোঝাই, কী বলে শবোধ দিই ? গায়েব গায়েবী নীচ নয়, অপবিত্র নয়, সূর্যের সন্তান, সকলের ○ ふ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।