পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গর্জন, একটিও পাখির ঝটপট কিংবা হরিণের ক্ষুরের খুটখাট শোনা গেল না— মনে হল, সমস্ত পাহাড় যেন ঘুমিয়ে আছে! রাগে নাগাদিত্যের দুই চক্ষু লাল হয়ে উঠল। তিনি দলবলের দিকে ফিরে বললেন—ঘোড়া ফেরাও । অসন্তুষ্ট ভীল-প্রজ এ বনের সমস্ত পশু অন্য পাহাড়ে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে । চল, আজ গ্রামে-গ্রামে, নগরে-নগরে পশুর সমান ভীলের দল শিকার করিগে।’ মহারাজার রাজহস্তী শুড় তুলিয়ে কান কঁপিয়ে পাহাড়ের উপর ইদরপুরের দিকে ফিরে দাড়াল—তার পিঠের উপর সোনার হাওদা, জরির বিছানা হীরের মতো জ্বলে উঠল, তার চারিদিকে ঘোড়ায় চড়া রাজপুতের দুশে বল্লম সকালের আলোয় ঝকমক করতে লাগল ! নাগ দি তা হুকুম দিলেন—“চালাও !' তখন কোথা থেকে গভীর গর্জনে, সমস্ত পাহাড় যেন ফাটিয়ে দিয়ে প্রকাণ্ড একটা কালো বাঘ, যেন একজন ভীল সেনাপতির মতে, সেই অত্যাচারী রাজার পথ আগলে পাহাড়েব মুড়ি পথে রাজহস্তীর সম্মুখে এসে দাঁড়াল ! নাগাদিত্য মহা আনন্দে ডান হাতে বল্লম নিয়ে হাতির দিঠে ঝুকে বসলেন । কিন্তু তার হাতের বল্লম হাতেই রইল— বনের অন্ধকার থেকে ক লো চামরে সাজানো প্রকাণ্ড একটা তীর তীর বুকের একদিক থেকে আর-একদিক ফাটিয়ে দিয়ে শনশন শব্দে বেবিয়ে গেল ! অত্যাচাৰী নাগাদি ত্য ভীলদের হাতে প্রাণ হবালেন । তারপর চারিদিক থে” – হাজারহাজার কালে বাঘের মতো কালে-কালে ভীল ঝোপঝাড়েব আড়াল থেকে বেরিয়ে রাজপুত্রের রক্তে পাহাড়ের গা রঙ কবে তুললে ; একজনও রাজপুত বেঁচে রইল না, কেবল সোনার সাজপরা মহারাজ নাগাদিত্যের কালো একটা পাহাড়ী ঘোড অন্ধকার সমুদ্রের সমান ভীল-সৈন্তের মাঝ দিয়ে ঝড়ের মতে রাজবাড়ির দিকে বেরিয়ে গেল । রাজমহিষী তখন ইদরপুরে কেল্লার পদে রাজকুমার বঞ্জাকে কোলে নিয়ে সন্ধ্যার হাওয়ায় বেড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন, আর এক 영업