পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরের সমস্ত কাজ করতে লাগল, আর রাজপুত্র বাপ্পা সেই দুটি ভাই —ভীল বালিয় ও দেবকে নিয়ে মাঠে-মাঠে বনে-বনে গরু চরিয়ে রাখাল-বালকদের সঙ্গে রাখালের মতো খেলে বেড়াতে লাগলেন । রাজপুরোহিত কারো কাছে প্রকাশ করলেন না যে, বাপ্পা রাজার ছেলে ; কেবল একটি তামার কবচে আগাগোড়া সমস্ত পরিচয় নিজের হাতে লিখে বাপ্পার গলায় বেঁধে দিলেন— তার মনে বড়ো ভয় ছিল পাছে কোনো ভীল বাপ্পার সন্ধান পায়। ক্রমে বাপ্পা যখন বড়ো হয়ে উঠলেন ; যখন মাঠে-মাঠে খোলা হাওয়ায় ছুটোছুটি করে, পাহাড়ে-পাহাড়ে ওঠা-নামাতে রাজপুত্র বাপ্পার সুন্দর শরীর দিন-দিন লোহার মতো শক্ত হয়ে উঠল ; যখন তিনি ক্ষেপ মোষ এক হাতে ঠেকিয়ে রাখতে পারতেন ; সমস্ত রাখাল-বালক যখন রাজপুত্র বলে না জেনেও রাজার মতো বাপ্পাকে ভয়, ভক্তি, সেব করতে লাগল তখন ব্রাহ্মণ অনেকটা নিশ্চিন্ত হলেন । তখন তিনি বাপ্পার শরীরের সঙ্গে মনকেও গড়ে তুলতে লাগলেন । তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় একলা ঘরে বাপ্পার কাছে বসে সেই মালিয়া পাহাড়ের গল্প, সেই ভীল-বিদ্রোহের গল্প,সেই রানী পুষ্পবর্তী, মহারাজ শিলাদিত্য, রাজকুমার গোহ, তার প্রিয়বন্ধু মাণ্ডলিকের কথা একে-একে বলতে লাগলেন । শুনতে-শুনতে কখনো বাপ্পার চোখে জল আসত, কখনো বা রাগে মুখ লাল হয়ে উঠত, কখনো ভয়ে প্রাণ কাপত । বাপ্পা সারা-রাত্রি কখনো সূর্যের মন্ত্র, কখনো পাহাড়ের ভীলের যুদ্ধ, স্বপ্নে দেখে wজগে উঠতেন, মনে ভাবতেন— আমিও কবে হয়তো রাজন হব, লড়াই করব | এমনি ভাবে দিন কাটছিল। সেই সময় একদিন শ্রাবণ মাসে নতুন-নতুন ঘাসের উপর গরুগুলি চরতে দিয়ে বনের পথে বাপ্পাদিত্য এক-একা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেদিন ঝুলন-পব, রাজপুতদের বড়ো আনন্দের দিন ; সকাল না হতে দলে-দলে রাখাল নতুন ক পড় পরে, কেউ ছোটো ভাইবোনকে কোলে করে, কেউ বা দইয়ের ভার কাধে br〉 . ولا سه ,)sة