করে, এই ধনুঃশর পৃথিবী জয় করে দেয়— এই ফুটি তুমি লও। আর বৎস, ভগবান একলিঙ্গের এই শ্বেতপাথরের মূর্তিটি সঙ্গে রেখ, সর্বদা এর পূজা করবে। আজ হতে তোমার নাম হল— একলিঙ্গক দেওয়ান | তোমার বংশে যত রাজা, এই নামেই সিংহাসনে বসবে ’ তারপব নিজের হাতে বাপ্পার গলায় চামড়ার পৈতা জড়িয়ে দিয়ে মহর্ষি সমাধিতে বসলেন। দেখতে-দেখতে র্তার পবিত্র শরীর আগুনের মতো ধূ-ধূ করে জ্বলে গেল। বাপ্পা কোমরে খাড়া, হাতে ধনুঃশর, মাথায় একলিঙ্গের মূর্তি ধবে ধবলী গাইয়ের পিছনৈ-পিছনে ফিবে চললেন– মেঘের গুরুগুরু, দেবতার ছন্দুভির মতো, সমস্ত আকাশ জুড়ে বাজতে লাগল। তখন ভোর হয়ে এসেছে, মেলা-শেষে মলিন মুখ যে যার ঘরে ফিরছে, বাপ্পা সেই যাত্রীদের সঙ্গে ঘরে ফিরলেন । কিছুদিন পবেই বাপ্পাকে নগেন্দ্রনগর ছেড়ে যেতে হল । ঝুলনপূর্ণিমর খেলাচ্ছলে দুজনে বিয়ে হবাব পর বিদেশ থেকে রাজকুমারীর বিয়েব সম্বন্ধ নিয়ে এক ব্রাহ্মণ রাজসভায় উপস্থিত হলেন । সেদিন সন্ধ্যাবেল নগেন্দ্রনগরে রাষ্ট্র হয়ে গেল যে ব্রাহ্মণ রাজকন্যার হাত দেখে গুণে বলেছেন আগেই নাকি কোন বিদেশীর সঙ্গে রাজকুমারীর বিয়ে হয়ে গেছে । আজ রাজীব গুপ্তচর সেই বিদেশীর সন্ধানে ঘুবে বেড়াচ্ছে — রাজ তাব মাথা আনতে হুকুম দিয়েছেন । কথাটা শুনে বাপ্পার মন অস্থির হয়ে উঠল, ভাবনায়-ভাবনায় সমস্ত রাত্রি কাটিয়ে ভোরে উঠে তিনি দেশ ছেড়ে যাবাব জন্য প্রস্তুত ই লন । যাবার সময় বাপ্পা তার পালক-পিতা পচাশি বৎসরের সেই রাজপুরোহিতের কাছে সমস্ত কথা প্রকাশ করে বললেন- – “পিতা, আমায় বিদায় দাও। আমি তো এখন বড়ো হয়েছি, আমার জন্যে তোমরা কেন বিপদে পড়? ব্রাহ্মণ বললেন— বৎস, তুমি জানো না তুমি কে ; তুমি রাজপুত্র, তোমার মা তোমাকে আমার হাতে সঁপে গেছেন ; আমি আজ এই অল্প-বয়সে এক ভিখারীর মতো তোমাকে কেমন করে বিদায় করব ? বাপ্পা তখন ভগবতীর সেই খাড়া আর অক্ষয় by(t
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।