সেখানে তখন মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধের মহা আয়োজন হচ্ছে । হাতির পিঠে, উটের উপরে গোলাগুলি চাল-ডাল, তাম্বু-কানাত ; গরুর গাড়িতে অস্ত্র-শস্ত্র, খাবার-দাবার ; বড়ো-বড়ো জালায় খাবার জল রাধবার ঘি তোলা হচ্ছে ; রাস্তায় রাস্তায় রাজপুত সৈন্য মাথায় পাগড়ি, হাতে বল্লম ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারিদিকে রাজার চর মুসলমানের সন্ধানে-সন্ধানে ফিরছে। মহারাজ মান নিজে সামন্ত-রাজাদের নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধেব সমস্ত আয়োজন দেখে বেড়াচ্ছেন— চারদিকে হৈ-হৈ পড়ে গেছে। এত গোলমাল, এত লোকজন, এমন প্রকাণ্ড নগর, এত বড়ো-বড়ো পাথরের বাড়ি বাপ্পা এ পর্যন্ত কখনো দেখেননি। নগেন্দ্রনগরে বাড়ি ছিল বটে কিন্তু তার মাটির দেয়াল ; সেখানেও মন্দির ছিল, কিন্তু সে কত ছোটো ! বাপ্পা আশ্চর্য হয়ে রাস্তার একপাশে দাড়িয়ে রইলেন, বালিয় আর দেব বড়ো-বড়ে হাতি দেখে অবাক হয়ে ই করে রইল । সেই সময়ে রাজ মান ঘোড়ায় চড়ে সেই বস্তায় উপস্থিত হলেন ; শাদা ঘোড়ার সোনার সাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে, মাথায় রাজছত্র ঝলমল করছে, দুইদিকে দুইজন ময়র-পাখার চামৰ দোলাচ্ছে ! বাপ্পা ভাবলেন- রাজাব সঙ্গে দেখা কখব বি এই ঠিক সময় । তিনি তৎক্ষণাৎ বালিয় ও দেবের হাত ধরে রাস্তাব মাঝে উপস্থিত হয়ে ভগবতী ভবানীর খাড়া কপালে স্পর্শ করে মহারাজকে প্রণাম করলেন । রাজা মান জিজ্ঞাসা করলেন-- ‘কে তুমি কণী চাও? বাপ্পা বললেন– “আমি রাজপুত বাজার ছেলে, আপনার সাশ্রয়ে রাজার মতো থাকতে চাই ! এই ভিখারী হা বার রাজার ছেলে ? চারিদিকে বড়ো-বড়ে সর্দার মুখ টিপে হাসতে লাগলেন, কিন্তু রাজা মান বাপ্পাব প্রকাণ্ড শীর, সুন্দর মুখ, অক্ষয় ধনুঃশর আর সেই ভবানীর খাড়া দেখেই বুঝেছিলেন– এ কোনো ভাগ্যবান, ভগবান কৃপা করে এই মুসলমান যুদ্ধের সময় এই বীরপুকষকে আনাব কাছে পাঠিয়েছেন। মানরাজ তৎক্ষণাৎ নিজের জরির শাল বাপ্পার গায়ে ,রিয়ে দিয়ে একটা কালো ঘোড়া বাপ্পার জন্তে আনয়ে দিলেন। বাপ্পা বললেন— bra
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।