বাড়িতেই ফিরে যাব । দ্বীপুদার উপরে ভার পড়ল র্তার জন্য তেভলার ঘর সাজিয়ে রাখবার | দীপুদা মহা উৎসাহে সাহেবি দোকান থেকে স্বামী দামী আসবাবপত্র, ভালো ভালো পর্দা ফুলদানি সব আনিয়ে চমৎকার করে তো ঘর সাজালেন । আমাদের ছিল একটা গাড়ি, ভিক্টোরিয়া নাম ছিল সেটার। কোচম্যানটাকে ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়া হল, যেন খুব আস্তে আস্তে গাড়ি চালায়, যেন বাকুনি না লাগে । ঘোড়াগুলো আস্তে দপাস দপাস করে চলতে লাগল— সেই গাড়িতে কর্তাদাদামশায়, সঙ্গে দীপুদ, বড়োজ্যাঠামশায় ছিলেন। কর্তাদাদামশায় এলেন, প্রিয়নাথ শাস্ত্রী মশায়ও ছিলেন কাছে, কাউকে ধরতে ছুতে দিলেন না, নিজেই হেঁটে সোজা উপরে উঠে এলেন। এসেই তার প্রথমে নজরে পড়েছে ; বললেন, ঢালু বারান্দা, চালু বারান্দ আমার কোথায় গেল, এই যে ঘরের সামনে ছিল । ভুমিকম্পে ফেটে গিয়েছিল দু-এক জায়গা, রবিকাক ভয়ে সে বারান্দা নামিয়ে ফেলেছিলেন। কর্তাদাদামশায় বললেন, পশ্চিমের রোদদুর আসবে যে ঘরে, পর্দা টাঙিয়ে দাও । বড়ো বড়ো ক্যানভাস জাহাজের ডেকে মতো ঘরের সামনে টাঙানো হল । দেখতে লাগল যেন মস্ত একটা শিবির পড়েছে তেতলার উপরে। ঘরে ঢুকলেন, ঢুকে— জানলায় দরজায় ছিল দামী দামী বাহারের কার্টেন ঝোলানো— ধরে এক টানে ছিড়ে ফেলে দিলেন । বললেন, এ-সব নেটের পর্দা ঝুলিয়েছ কেন ঘরে, মশারি-মশারি মনে হচ্ছে। সারা ঘরে এইসব ঝুলিয়েছ, ধরে মশা-ফশা হবে, ব’লে দু-একটা পর্দা পটাপট ছিড়তেই দীপুদ তাড়াতাড়ি সব পর্দা খুলে বগলদাবা করলেন। তার পর কর্তাদাদামশায় ঘরের চার দিক দেখে বললেন, এ-সব কী— এ-সব তুমি নিয়ে গিয়ে তোমাদের বৈঠকখানায় সাজাও, এ-সব আসবাবের আমার দরকার নেই। রাখলেন শুধু একটা ছবিতে অীক গির্জের মধ্যে ঘড়ি, টং টং করে বাজত, বড়ো একটা চোঁকে ছবির মতো ব্যাপার সেইটি রইল ঘরে, আর রইল র্তার সেই নিত্যব্যবহারের বেতের চৌকি ও মোড় । আর তেতলার ছাদের উপর সারি সারি মাটির কলসী উপুড় করিয়ে রাখা হল ছাদের তাত নিবারণের জন্ত । দীপুদা আর কী করেন ; বললেন, ভালোই হল, মাঝ থেকে আমার কতকগুলো ভালো ভালো জিনিস হয়ে গেল । তিনি ভালো করে সে-সব জিনিসপত্তোর দিয়ে বৈঠকখানা সাজালেন। দীপুল ভারি খুশি, প্রায়ই aß
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।