পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা তাকে শুধু লাটোর বলেই সম্ভাষণ করতুম। নাটাের নেমস্তন্ন করেলেন আমাদের বাড়ির সবাইকে। আমাদের বাড়ির সঙ্গে তার ছিল বিশেষ ঘনিষ্ঠত, আমাদের কাউকে ছাড়বেন না— দীপুদ, আমরা বাড়ির অন্য সব ছেলেরা সবাই তৈরী হলুম, রবিকাকা তো ছিলেনই। আরো অনেক নেতার, ন্যাশনাল কংগ্রেসের চাইরাও গিয়েছিলেন । ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল, ডবলিউ. সি. বোনার্জি, মেজোজ্যাঠামশায়, লালমোহন ঘোষ — প্রকাও বক্ত তিনি, বড়ো ভালো লোক ছিলেন, আর কী সুন্দর বলতে পারতেন কিন্তু ক্টোক ওই ইংরেজিতে – স্বরেন্দ্র বাড়ুজে, আরো অনেকে ছিলেন – সবার নাম কি মনে আসছে এখন । তৈরি তো হলুম সবাই যাবার জন্য। ভাবচি যাওয়া-আসা হাঙ্গাম বড়ো । নাটোর বললেন, কিছু ভাবতে হবে না দাদা । ব্যবস্থা হয়ে গেল, এখান থেকে স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে আমাদের জন্ত । রওনা হলুম সবাই মিলে হৈ-হৈ করতে করতে। চোগাচাপকান পরেই তৈরি হলুম, তখনো বাইরে ধুতি পরে চলাফের অভ্যেস হয় নি। ধুতি-পাঞ্জাবি সঙ্গে নিয়েছি, নাটােরে পৌঁছেই এ-সব খুলে ধুতি পরব। আমরা যুবকর ছিলুম একদল, মহাফুর্তিতে ট্রেনে চড়েছি। নাটোরের ব্যবস্থা– রাস্তায় খাওয়াদাওয়ার কী আয়োজন ! কিছুটি ভাবতে হচ্ছে না, স্টেশনে স্টেশনে খোঁজখবর নেওয়া, তদারক কর, কিছুই বাদ যাচ্ছে না – মহী আরামে যাচ্ছি। সারাঘাট তো পৌছানো গেল । সেখানেও নাটোরের চমৎকার ব্যবস্থা । কিছু ভাববারও নেই, কিছু করবারও নেই, সোজা ষ্টীমারে উঠে যাওয়া । সঙ্গের মোটঘাট বিছানা-কম্বল ? নাটোর বললেন, কিছু ভেবে না । সব ঠিক আছে। আমি বললুম, আরে, ভাবব না তে কী। ওতে যে ধুতি-পাঞ্জাবি সবকিছুই আছে। নাটোর বললেন, আমাদের লোকজন আছে, তারা সব ব্যবস্থা করবে । দেখি নাটোরের লোকজনেরা বিছানাবাক্স মোটঘাট সব তুলছে, আর আমার কথা শুনে মিটমিটি হাসছে। যাক, কিছুই যখন করবার নেই, সোজা ঝাড় হাত-পায় ষ্টীমারে নির্ভাবনায় উঠে গেলুম। পদ্মা দেখে মহা খুশি ولا A e