পৌঁচেছিল, আমরা সব ভালো । আমরাও তাদের একটিমাত্র তার পেলুম যে তারাও সবাই ভালো আছেন। আর-কারো কোনো খবরা-খবর করবার বা নেবার উপায় নেই। কী করি, চলে আসবার যখন উপায় নেই থাকতেই হচ্ছে ওখানে। নাটােরকে বললুম, কিন্তু তোমার বৈঠকখানা ঘরে আর ঢুকছি ন। রবিকাকারও দেখি তাই মত, পাকা ছাদের নীচে ঘুমোবার পক্ষপাতী নন। তখনো পাচ মিনিট বাদে বাদে সব কেঁপে উঠছে । কখন বাড়িঘর ভেঙে পড়ে ঘাড়ে, মরি আর কি চাপা পড়ে। বললুম, অন্য কোথাও বাইরে জায়গা করে। নাটোরের একটা কাছারি বাংলো ছিল একটু দূরে, বেশ বড়োই। ভিতরে ঢুকে আগে দেখলুম ছাদটা কিসের– । দেখি, ভয়ের কিছু নেই, ছাদটি খড়ের, নীচে ক্যানভাসের চাদোয় দেওয়া । ভাবলুম যদি চাপ পড়ি, না-হয় ক্যানভাস ছিড়েফুড়ে বের হতে পারব কোনোরকমে। ঠিক হল সেখানেই থাকব, ব্যবস্থাও হয়ে গেল। খাবার জায়গা হল গাড়িবারান্দার নীচে । তেমন কিছু হয় তো চট্ করে বাগানে বেরিয়ে পড়া যাবে সহজেই। - মেজাজ্যাঠামশায় অদ্ভূত লোক। তিনি কিছুতেই মানলেন = , তিনি বললেন, আমি ওই আমার ঘরেতেই থাকব, আমি কোথাও যাব না । নাটোর পড়লেন মহী বিপদে ৷ এখন কিছু একটা ঘটে গেলে উপায় কী । মেজেজ্যাঠামশায় কিছুতেই কিছু শুনলেন না ; শেষে কী করা যায়, নাটোর হুকুম দিলেন ছ-সাতজন লোক দিনরাত ওঁর ঘরের সামনে পাহার। দেবে । তেমন তেমন দেখলে যেমন করে হোক মেজোজ্যাঠামশায়কে পাজাকোল করে বাইরে আনবে । ময় তো তাদের আর ঘাড়ে মাথা থাকবে না । চলতে লাগল সেই দিনটা এমনি করেই। এখন, মুশকিল হচ্ছে চানের ঘর নিয়ে । চানের ঘরে ঢুকে লোকে চান করছে এমন সময়ে হয়তে আবার কাপুনি শুরু হল ; তাড়াতাড়ি গামছ পরে যে যে অবস্থায় আছে বেরিয়ে আসেন। এ এক বিভ্রাট। চীনের ঘরে কেউ আর ঢুকতে পারেন না। দীপুদার একদিন কী হয়েছিল শোনে । কাপুনি শুরু হয়েছে, তিনি ছিলেন একতলার ঘরে, জানাল দিয়ে বাইরে একলাফে বেরিয়ে এলেন । ওই তে মোট শরীর, নীচে ছিল কতলগুলি সোডার বোতল, পড়লেন তারই উপরে। ভাগ্যিস সেগুলি খালি ছিল নয়তে ফেটেফুটে কী একটা ব্যাপার হত সেদিন । Ꮌ ᎼᎸ
পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী প্রথম খণ্ড.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।